শিরোনাম
◈ এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৩ ◈ যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুমে ◈ যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে হামলার আগে কাতারকে আগাম বার্তা দিয়েছিল ইরান: সিএনএন ◈ ইরানের হামলা ‘অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য’: সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ◈ ইরানের হামলার পর দোহা-বাগদাদ ফ্লাইট বাতিল, বিপর্যস্ত ইউএই-র আকাশপথ ◈ ইরানের হামলার নিন্দা কাতারের, উপযুক্ত জবাবের হুমকি ◈ কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ◈ ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করতে চায় ইসরাইল, পাঠিয়েছে বার্তা! ◈ প্রধান উপদেষ্টা ও দুদককে উকিল নোটিশ পাঠালেন টিউলিপ সিদ্দিক ◈ আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে কাতার

প্রকাশিত : ২৩ জুন, ২০২৫, ১১:১১ রাত
আপডেট : ২৪ জুন, ২০২৫, ০১:৩৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করতে চায় ইসরাইল, পাঠিয়েছে বার্তা!

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল: ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সঙ্গে দ্রুত যুদ্ধ শেষ করার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র তার আরব মিত্রদের মাধ্যমে ইরানের কাছে ইসরায়েলের বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। আরব ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সোমবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেল-১২ এর খবরে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ‘অপারেশন রাইজিং লায়নের’ মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি নির্মূল করে নিজেদের সামরিক লক্ষ্য খুব দ্রুত অর্জন করতে পারবে বলে প্রত্যাশা ইসরায়েলের।

আরবের কর্মকর্তারা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন, ইসরায়েল এই অভিযান শিগগিরই শেষ করতে চায় বলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের আরব মিত্রদের মাধ্যমে ইরানকে বার্তা দিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাব দেওয়া ছাড়া ইরান এখনই অভিযান শেষ করতে চায় না। 

ইসরায়েলি এক কর্মকর্তা রোববার টাইমস অফ ইসরায়েলকে বলেছেন, ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি বাতিল করতে রাজি হলে ইসরায়েল এখনই বোমা হামলা বন্ধ করার জন্য প্রস্তুত আছে। তিনি বলেন, ‘‘এই অভিযান বন্ধের বিষয়টি আমাদের ওপর নয়, বরং ইরানের ওপর নির্ভর করছে। আমরা চাইলে এখনই শেষ করতে পারি। সেক্ষেত্রে যদি একটি চুক্তি হয়, তাহলে ইসরায়েল তার অভিযানের ফলাফলে সন্তুষ্ট থাকবে।’’

চ্যানেল-১২ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযান শেষ করার দুটি পথ খোলা রয়েছে। প্রথমত, ইসরায়েল একতরফাভাবে ঘোষণা করতে পারে যে, তারা তাদের যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জন করেছে এবং ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধ করেছে।

দ্বিতীয়ত, উভয়পক্ষই যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিতে পারে। যদিও ইসরায়েল এটিকে কম গ্রহণযোগ্য হিসেবে মনে করে।

তবে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধ না করলে ইসরায়েল আরও জোরালোভাবে পাল্টা হামলা চালাবে। আর এই হামলার প্রধান টার্গেট হবে ইরানি শাসকগোষ্ঠী। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াল্লা বলছে, সোমবার তেহরানের কেন্দ্রস্থলে সরকার-নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন স্থাপনায় হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল এক ধরনের বার্তা দিতে চেয়েছে। সেটি হলো ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধ না করলে ভবিষ্যতে এই ধরনের ইসরায়েলি হামলা আরও বৃদ্ধি পাবে।

নিরাপত্তা সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে ওয়াল্লা বলছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিই এই লড়াই বন্ধে তেহরানের রাজি হওয়ার পথে প্রধান অন্তরায়।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ হামলা ইরানকে আবারও আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনবে এবং শেষ পর্যন্ত তারা পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধে রাজি হবে বলে তারা প্রত্যাশা করছেন।

তবে যদি ইসরায়েল মনে করে ইরান আবারও এই কর্মসূচি শুরু করতে চাইছে, তাহলে তারা পুনরায় বিমান হামলা চালাবে। এর আগে, রোববার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েল তাদের লক্ষ্য অর্জনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর গুরুতর ক্ষতি করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, ইসরায়েল কোনও দীর্ঘস্থায়ী ‌‌‌‘যুদ্ধে’ জড়াতে চায় না। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান বন্ধ করার প্রশ্নই আসে না বলেও মন্তব্য করেছেন নেতানিয়াহু।

সূত্র: ঢাকাপোস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়