শিরোনাম
◈ বিসিবি থেকে অপসারণের পর দেশ ছেড়েছেন ফারুক আহমেদ! ◈ আইসিসিতে ফারুকের অভিযোগ, সরকারি হস্তক্ষেপে অপসারণ করা হ‌চ্ছে ◈ জাপা‌নে নি‌ক্কেই ফোরাম অনুষ্ঠা‌নে প্রধান উপ‌দেষ্টা - একটি নির্দিষ্ট দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইছে ◈ একটি লোক নির্বাচন চান না, সে হলেন ড. ইউনূস: মির্জা আব্বাস (ভিডিও) ◈ ওমানে বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য বড় সুখবর ◈ বাংলাদেশকে ১ দশমিক ০৬৩ বিলিয়ন ডলায় বাজেট সহায়তা দিবে জাপান ◈ চীন ও আফগানিস্তা‌ন ক্রিকেটের উন্নয়নে আ‌ছে বুলবুলের অবদান ◈ জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ◈ বর্তমান সরকারের হাতে দেশ ও মানুষ নিরাপদ নয়: জাতীয় পার্টি ◈ আলিপুরদুয়ার থেকে মোদির ‘মিশন বেঙ্গল’ শুরু: বাংলাদেশের প্রতি কৌশলগত বার্তা? (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৯ মে, ২০২৫, ০৩:৩৮ দুপুর
আপডেট : ৩০ মে, ২০২৫, ০১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পথসভার যে অভিজ্ঞতা কখনো ভুলবেন না তাসনিম জারা

নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পাটির (এনসিপি) প্রচারে গত তিন দিন ধরে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ২৫টির বেশি সমাবেশে অংশ নিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে ট্রাকের করে পথসভা করেছেন তিনি। যেখানে সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হওয়ার কথা জানান জারা।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ৩ দিনের সমাবেশের অভিজ্ঞতার কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরেন তাসনিম জারা। যেখানে রাজনীতিবিদ হিসেবে জীবনের প্রথম এমন পথসভার অভিজ্ঞতাকে কখনো ভুলবেন না বলে জানান তিনি।

তাসনিম জারার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

চট্টগ্রামের ভালোবাসায় সিক্ত

তিন দিনে ২৫টির বেশি সমাবেশে অংশ নিয়েছি, হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে। রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রথম রোড ট্যুর ছিল এটা। এই অভিজ্ঞতা আমি কখনো ভুলব না।

যতই এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় গিয়েছি, মানুষের ভিড় ততই বেড়েছে। কিন্তু শুধু ভিড় নয়, আমাকে সবচেয়ে ভালো লেগেছে মানুষ যেভাবে যোগ দিয়েছে সেটা দেখে। কেউ এসেছে রাস্তায়, আবার কেউ আমাদের দেখেছে ছাদ থেকে, জানালা থেকে, বারান্দা থেকে। কেউ গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে থেকেছে, কেউ হাত নেড়েছে, হাসি দিয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি সবার সঙ্গে চোখে চোখ রেখে হাত নাড়তে।

বাহাদ্দারহাটে চোখে পড়ে একটি ছোট ছেলে, হয়তো সাত-আট বছর বয়স হবে। একটি বিল্ডিংয়ের বারান্দায় গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে আমাদের দেখছিল। পাশে ছিল তার পরিবারের কয়েকজন। আমি হাত নাড়লাম, ওরাও নাড়ল। পরে যখন আমি বক্তব্য শুরু করি, সেই বারান্দার দিকেই ইশারা করে বলেছিলাম, আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই, যেখানে এই শিশুটি নিরাপদে বড় হতে পারবে, তার সামর্থ্য ও স্বপ্ন পূর্ণভাবে বিকশিত করতে পারবে। আমি যখন ওর কথা বলি, ওর পরিবার ছেলেটাকে তুলে ধরে। সবাই ওর প্রতি করতালি দেয়।

আমরা এই জন্যই রাজনীতি করব। এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে কাজ করব, যেখানে শুধু বেঁচে থাকার সুযোগ নয়, সম্মানের সঙ্গে নিজেকে গড়ে তোলার সুযোগ থাকবে। প্রতিটি নাগরিক যেন নিজের ক্ষমতা ও সম্ভাবনা বিকাশ করতে পারে। অমর্ত্য সেন আর মার্থা নুসবাম একে বলেন “Capability Approach”।

এই সফরে যেসব অভিজ্ঞতা হয়েছে তা আমার চিন্তা, দর্শন ও কাজকর্মে প্রভাব ফেলবে। একজন রাজনীতিক হিসেবে না, একজন নাগরিক হিসেবেও।

আজ থেকে আবার যাত্রা শুরু। মোহাম্মদপুরে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সঙ্গে রোড র‌্যালিতে অংশ নিচ্ছি। আপনাদেরকে আমন্ত্রণ রইল।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়