স্পোর্টস ডেস্ক : আফগানিস্তানের ক্রিকেটের উত্থানের নেপথ্যে অনেক বড় কৃতিত্ব বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাওয়া আমিনুল ইসলাম বুলবুলের।
আইসিসির গেম ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে এশিয়ান অঞ্চলে কাজ করেছেন বুলবুল। সেখানেই দায়িত্ব পড়ে আফগানিস্তানের ক্রিকেট কাঠামো উন্নয়নের। আফগানদের নিয়ে ওয়ার্কশপ করেছিলেন বুলবুল। শোনা যায়, আফগানিস্তানে যে তিনটা হাই পারফর্ম্যান্স সেন্টার আছে; সেগুলো তৈরির পরিকল্পনাও তার। একসময় যে দেশটায় এগারোজন ক্রিকেটার ছিল না; বুলবুলদের ছোঁয়ায়, সংখ্যাটা পৌঁছেছে লাখে।
চীনা ক্রিকেটের জনকও বলা হয় বুলবুলকে। বলা হয়ে থাকে, চীনে ক্রিকেট খেলা প্রথম ব্যক্তি বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক। এসিসির হয়ে চীনে ক্রিকেটের আত্মপ্রকাশে কাজ করেন বুলবুল। দেশের একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে চীনের ভাষাও শেখেন। যে দেশটা ব্যাট-বলই চিনতো না; তাদের চেনানো, আগ্রহী করা এমনকি ব্যাট ধরতে পর্যন্ত শিখিয়েছিলেন বুলবুল।
১৯৯৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়নও তিনি। ক্যারিয়ার শেষে পাড়ি জমান অস্ট্রেলিয়ায়, কোচিংইয়ের লেভেল টু কমপ্লিট করেন; যুক্ত হন নিউ সাউথ ওয়েলস ইউনিভার্সিটির কোচিং প্যানেলে। এরপর দেশে ফিরে আবাহনীকে জেতান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা।
আবারও দেশে ফিরেছেন বুলবুল, এবার বাংলাদেশ ক্রিকেটের স্বপ্ন সারথী হয়ে। সাম্প্রতিক ব্যর্থতায় ক্রিকেটের চাহিদা নিম্নমুখী, দেশের ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা; নতুন সভাপতির হাতেই বদলে যাবে দেশের ক্রিকেট। তবে সেই প্রত্যাশার বাস্তবায়ন কতখানি হবে, সেই উত্তর মিলবে সময় গড়ালেই। তথ্য, যমুনা টেলিভিশন