জুলাই আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে ‘নো রিলিজ, নো ট্রিটমেন্ট’ অর্ডার দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৪ আগস্ট) আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলার দ্বিতীয় সাক্ষী শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল ইমরানের জবানবন্দিতে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ইমরান জবানবন্দিতে বলেন, শেখ হাসিনার ওই আদেশের পর ঠিকমতো চিকিৎসা পাননি তিনি। এমনকি অন্য হাসপাতালে গিয়ে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ চাইলেও তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি।
ঢাকা কলেজের এই শিক্ষার্থী তার জবানবন্দিতে আরও বলেন, গত বছরের ১৯ জুলাই আন্দোলনের সময় বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে তার পায়ে গুলি লাগে। ওই সময় তার সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আরও দুজন। পায়ে গুলি লাগার পর বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে পরে তিনি অর্থোপেডিক হাসপাতালে ভর্তি হন। যাওয়ার পথে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসার সামনে তাদের অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নিজের জীবনের এই অবস্থার জন্য শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও তৎকালীন পুলিশ প্রধানকে দায়ী করেন ইমরান।
এ সময় কাঠগড়ায় আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন উপস্থিত ছিলেন।