শিরোনাম
◈ ইসির নিবন্ধনের প্রাথমিক বাছাইয়ে ফেল এনসিপিসহ ১৪৪ দল ◈ বাংলাদেশ টিম আমার বাপ দাদার সম্পত্তি না: কোচ সালাউদ্দিন  ◈ বদলি আদেশ ছিঁড়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণ, শাস্তির মুখে ৯ কর কর্মকর্তা ◈ গাড়ি থামিয়ে ঘুষ গ্রহণ, ওসিসহ ৬ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার ◈ পটুয়াখালী শিক্ষকের বাড়িতে ডাকাতি, আমেরিকা প্রবাসী নববধূকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ ◈ টোলপ্লাজায় ৬ জনের প্রাণহানি: দেড় কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার রুল ◈ ধামরাইয়ে পুলিশের উপর হামলা করে আসামি ছিনতাই, গ্রেপ্তার ১ ◈ সড়‌কে অ‌বৈধ পা‌কিং ক‌রে যানজট সৃ‌ষ্টির অ‌ভি‌যো‌গে বাঁশখালীতে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৯টি বাস জব্দ ◈ এবারে উলিপুরের এক মাদ্রাসায় শতভাগ ফেল, হতাশ অভিভাবকরা ◈ ঐকমত্য কমিশনের ব্যর্থতার দায় শুধু আমাদের নয়, সবার: ড. আলী রীয়াজ"

প্রকাশিত : ১৪ জুলাই, ২০২৫, ১২:৪৫ দুপুর
আপডেট : ১৫ জুলাই, ২০২৫, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নিহত সোহাগকে হিন্দু দাবি করে মিথ্যা প্রতিবেদন করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম: প্রেস উইং

রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্ট চেক ইউনিট সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে গতকাল রোববার এ তথ্য জানানো হয়।

প্রেস উইং জানিয়েছে, এনডিটিভি, ইন্ডিয়া টুডে এবং ইওনসহ ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) নিহত ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন বলে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

সোহাগের বাবার নাম মো. আয়ুব আলী এবং মায়ের নাম আলেয়া বেগম। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী লাকি বেগম, বোন ফাতেমা এবং একমাত্র ছেলে সোহানকে রেখে গেছেন।

গত ৯ জুলাই স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে সোহাগকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে একদল সন্ত্রাসী। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁর নিথর দেহেও বোল্ডার ছুড়ে মারা হয়। নৃশংস এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

গতকাল রোববার জানাজা শেষে সোহাগকে বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ গ্রাম বন্দরগাছিয়ায় তাঁর মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।

ভারতের যেসব সংবাদমাধ্যম সোহাগকে হিন্দু বলে উল্লেখ করেছে, তারা তাদের প্রতিবেদনে তার ধর্ম বা পারিবারিক পরিচয় সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট তথ্য উপস্থাপন করেনি। বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের নামে ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম নিয়মিত ভিত্তিহীন ও ভুল তথ্য প্রচার করে আসছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়