সাড়ে ১০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও ৪৬৩ কোটি টাকার বেশি সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নেতা শামীম ওসমান ও তার স্ত্রী সালমা ওসমানের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এছাড়া শামীম ওসমানের ছেলে ইমতিনান ওসমান ও মেয়ে লাবীবা জোহার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। এ অবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(১) ধারা মোতাবেক পৃথক ২টি সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুদকের সহকারী পরিচালক পিয়াম পাল ও মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দুটি করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশে জ্ঞাত আয়ের উৎসবিহীন ৬ কোটি ৬৭ লাখ ৫৩ হাজার ৬৮৯ টাকার সম্পদের মালিক হন এবং তা ভোগ-দখলে রাখেন। এছাড়া তার নামে ৯টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৪৩৯ কোটি ৮২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৮০ টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। যা সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত করেছে দুদক।
অন্যদিকে শামীম ওসমানের স্ত্রী সালমা ওসমানের বিরুদ্ধেও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৩ কোটি ৯ লাখ ৭৫৭ টাকার সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া ব্যাংক হিসাবে থাকা ২৪ কোটি ৬৬ লাখ ৮৯ হাজার ১৩১ টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। এ কারণে তার বিরুদ্ধে অপর মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।