শিরোনাম
◈ মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্ত: ৬ অজ্ঞাত মরদেহ শনাক্তে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু ◈ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ নিহত শিক্ষার্থীর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স উল্টে আহত স্বজনেরা ◈ ভারত থেকে আজই আসছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও সরঞ্জাম: বিবিসি বাংলা ◈ জাকেরের ফিফটি ও বোলারদের দাপটে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ ◈ বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আংশিক উৎপাদন বন্ধ, ফলে উত্তরাঞ্চলে লোডশেডিং ◈ পুত্রহারা মায়ের আহাজারি, ভাই হারানো বোনের কান্না—তৌকিরের জানাজায় শোকাবহ রাজশাহী ◈ কুমিল্লার ১১টি আসনেই সক্রিয় বিএনপি, বসে নেই জামায়াতও,২টি আসনে আলোচনায় এনসিপি ◈ মোংলা বন্দরে আমদানি বাড়াতে ব্যবসায়ীদের প্রতি এনবিআর চেয়ারম্যানের আহ্বান ◈ ‘জালিম যতই শক্তিশালী হোক, জামায়াত তার চেয়েও শক্তিশালী হবে’

প্রকাশিত : ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:৩৭ দুপুর
আপডেট : ১১ জুলাই, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : মাসুদ আলম

যে কারণে মেঘনা আলম ‘নিরাপত্তা হেফাজতে’, জানাল পুলিশ

ডিএমপির বার্তায় ‘মেঘনা আলমকে অপহরণ করার অভিযোগ সঠিক নয়’ উল্লেখ করে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্ক মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অবনতির অপচেষ্টা করা এবং দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে মেঘনা আলমকে সব আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাঁকে অপহরণ করার অভিযোগ সঠিক নয়। তথাপি আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার তাঁর রয়েছে।

আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

সাবেক মিস আর্থ বাংলাদেশ বিজয়ী মডেল ও অভিনেত্রী মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশ বলছে, তাঁকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অবনতির অপচেষ্টা।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত বিশেষ ক্ষমতা আইনে মডেল মেঘনা আলমকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দেন। তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেওয়া হয়।

১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী, ক্ষতিকর কাজ থেকে নিবৃত্ত রাখার জন্য সরকার যেকোনো ব্যক্তিকে আটক রাখার আদেশ দিতে পারবেন। আবার এই আইনের ৩ (২) ধারা অনুযায়ী, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যদি সন্তুষ্ট হন যে এই আইনের নির্দিষ্ট ধারার ক্ষতিকর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে কেউ জড়িত, তাহলে ওই ব্যক্তিকে আটক রাখার আদেশ দেবেন।

বিশেষ ক্ষমতা আইনের যেসব ক্ষতিকর কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিকে আটকাদেশ দেওয়া যায়, সেগুলো হচ্ছে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বা প্রতিরক্ষার ক্ষতি করা, বাংলাদেশের সঙ্গে বিদেশি রাষ্ট্রের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সংরক্ষণের ক্ষতি করা, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বা জননিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার ক্ষতি করা, বিভিন্ন সম্প্রদায়, শ্রেণি বা গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণাবোধ বা উত্তেজনা সৃষ্টি করা, আইনের শাসন বা আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা বা উৎসাহ প্রদান করা বা উত্তেজিত করা।

ক্ষতিকর আরও কাজ হচ্ছে, জনসাধারণের জন্য অত্যাবশ্যক সেবা বা অত্যাবশ্যক দ্রব্যাদি সরবরাহে বাধা সৃষ্টি করা, জনসাধারণ বা কোনো সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি বা আতঙ্ক সৃষ্টি করা এবং রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক বা আর্থিক ক্ষতি করা।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাতে মেঘনা আলমকে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করা হয়। মেঘনা আলম ওই সময় ফেসবুকে লাইভে এসে নিজেকে নিরপরাধ দাবি করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়