নির্বাচনের পরও যেন জুলাই-আগস্টের বিচার থেমে না যায়, সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এমন ইশতেহার আমরা প্রত্যাশা করি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এদিন দুপুরে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্য দেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু নাহিদের পূর্ববর্তী সাক্ষী আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের জেরা চলমান থাকায় আজ তার সাক্ষ্য গ্রহণ হবে না। তিনি আসামি কাল এই মামলায় সাক্ষ্য দেবেন। তিনি এই মামলায় ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেবেন।
নাহিদ বলেন, ‘শুধু একটি মামলাই নই, এটা হয়তো আমরা রাজনৈতিকভাবে ন্যায়বিচার পাবো। কিন্তু সারাদেশে যেসব গণহত্যা, নির্যাতন-নিপীড়ন, গ্রেফতার, গুম-খুন সংঘটিত হয়েছিল, সেসব নিয়েও অনেক মামলা রয়েছে। ফলে বিচারপ্রক্রিয়া দীর্ঘ সময় ধরে চলমান থাকবে। নির্বাচনের পরও যেন এ বিচারপ্রক্রিয়ায় কোনো বাধাগ্রস্ত না হয় এর প্রতিশ্রুতির জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে রোডম্যাপের দাবি জানিয়েছি আমরা। একইসঙ্গে সব রাজনৈতিক দলের কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, যেন তাদের ইশতেহারে নির্বাচনের পরও জুলাই গণহত্যার বিচার চলমান রাখার কথা উল্লেখ রাখে।’
ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। অর্থাৎ রায়ের দিকে দ্রুততম সময়ে যাবে। তবে বাকি সব মামলাও যেন যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে এগিয়ে চলে। এজন্য যেন নির্বাচনের আগে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিলে সমন্বিত রোডম্যাপ ঘোষণা করে সরকার।’