শিরোনাম
◈ আইএমএফ-বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক: বিনিময় হার নিয়ে কোনো সমঝোতা ছাড়াই শেষ ◈ গ্যাসসংকট: কমছে শিল্প উৎপাদন, প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক অর্থনীতিতে ◈ পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তৌহিদ হোসেনের ফোনালাপ, কী কথা হলো? ◈ ইউরোপীয় ইউনিয়নে অর্থের বিনিময়ে নাগরিকত্বের সুযোগ শেষ ◈ দেশের পথে খালেদা জিয়া ◈ টানা দুই দফা কমার পর আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম, ভরি কত? ◈ আদানি পাওয়ারের কাছে বাংলাদেশের বকেয়া প্রায় ৯০ কোটি ডলার! ◈ তথ্য-উপাত্ত সঠিক না থাকায় ফ্যাসাদ তৈরি হচ্ছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা ◈ চিকিৎসা ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ ছাড়া সমস্যা নিরসন হবে না: প্রধান উপদেষ্টা ◈ বাতাসের মান যাচাইয়ে রাজধানীর ২৫ যায়গায় বসবে আধুনিক যন্ত্র: ডিএনসিসি  

প্রকাশিত : ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ০২:২৮ দুপুর
আপডেট : ০৪ মে, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : আশ্রাফুর রহমান রাসেল

নিপীড়িতের পক্ষে আছি, যদি সুযোগ হয় আমি শেখ হাসিনার পক্ষে লড়াই করব : জেড আই খান পান্না

সরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপার্সন এবং সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জহিরুল ইসলাম খান পান্নার (জেড আই খান পান্না) বলেছেন, ‘আমি সবসময় আছি নিপীড়িতের পক্ষে। সে যেই হোক না কেন। যদি সুযোগ হয় আমি শেখ হাসিনার পক্ষে লড়াই করব, সেটা ট্রাইব্যুনাল হোক আর অন্য যেকোনো জায়গায় হোক।’

বৃহস্পতিবার সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরীর পক্ষে আইনি লড়াই শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। 

জেড আই খান পান্না বলেন, আগে ছিল গণ-গ্রেফতার, এখন হচ্ছে গণ-মামলা। তো গণ-মামলা হলে পরে গণ-গ্রেফতারও হবে। এটার ভিকটিম একসময় আমিও ছিলাম। তবে অকল্পনীয়ভাবে গণ-মামলা চলছে। এমন এর আগে কখনো হয়নি। একই স্ক্রিপ্ট- চোখ নষ্ট হয়ে গেছে, না হয় পা নষ্ট হয়ে গেছে, অথবা গুলি লাগছে একটা- কিন্তু এ জন্যে শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে।

ব্রিফিংয়ের সময় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, অতীতে আপনি শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছেন। এখন তার পক্ষে লড়তে চাইছেন। এটি আপনার আগের অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না?

উত্তরে জেড আই খান পান্না বলেন, অবশ্যই সাংঘর্ষিক। কিন্তু প্রত্যেক মানুষের আইনি সুবিধা পাওয়ার অধিকার আছে। মানবিক দিক বিবেচনা করেই আমি শেখ হাসিনার পক্ষে লড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছি। তবে আমি যেকোনো অপরাধের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে।

নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ড. ইউনুস বোধ হয় উপলব্ধি করছেন যে, সংশোধন-টংশোধণ করা তার ঠিক হবে না। গতকাল তার একটি বক্তব্য দেখলাম তিনি বলছেন, রাজনৈতিক দল যদি সংস্কার না চায় তবে নির্বাচন দিয়ে আমি চলে যাব। আক্ষেপ বা অভিমান যে সুরেই তিনি এ কথা বলুক না কেন, এটাই সত্যি। এই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রাথমিক এবং একমাত্র দায়িত্ব হচ্ছে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া। সেই সঙ্গে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সেই সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। এ সরকারের দায়িত্ব নয় সংস্কার করা, তবে সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার দায় রয়েছে।

গণহারে মামলার সংখ্যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে তুলনামূলকভাবে বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগে ছিল গণগ্রেপ্তার, এখন হচ্ছে গণমামলা। গণমামলা হলে পরে গণগ্রেপ্তার হবে। এটার ভিকটিম এক সময় আমিও ছিলাম। তবে অকল্পনীয়ভাবে গণমামলা চলছে। এমন এর আগে কখনো হয়নি। একই স্ক্রিপ্টে চোখ নষ্ট হয়ে গেছে, না হয় পা নষ্ট হয়ে গেছে, অথবা গুলি লাগছে একটা, কিন্তু এ জন্যে শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে।’

এর আগে, জুলাই-আগস্টের ঘটনায় হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরীকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। সুপ্রিম কোর্ট বারের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।

গত ১৯ নভেম্বর জুলাই-আগস্টের ঘটনায় হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরীকে ৬ মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর সীমান্ত পথে পালাতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হন সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মো. মেহেদী হাছান চৌধুরী। পরে তাকে জুলাই-আগস্টের হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তার আগে গত ৮ আগস্ট অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের পদ থেকে পদত্যাগ করেন ব্যারিস্টার মো. মেহেদী হাছান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়