মনিরুল ইসলাম : বাংলাদেশ থেকে আরও লোক নিতে ইচ্ছুক ইতালি এবং বাংলাদেশ থেকে নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন সফররত ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তিও পিয়ান্তেদোসি।
আজ সোমবার বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি । সেখানে বাংলাদেশিদের নিরাপদ ও বৈধ অভিবাসন, মানবপাচার মোকাবিলা এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়।
মাত্তিও বলেন, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি সেপ্টেম্বরের আগেই বাংলাদেশ সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে, কারণ রোম ঢাকার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা 'নবায়ন' ও 'পুনরায় চালু করতে' আগ্রহী।
তিনি বলেন, 'ইতালিতে আমাদের বিশাল বাংলাদেশি কমিউনিটি রয়েছে। বাংলাদেশি কমিউনিটি তরুণ, পরিশ্রমী এবং ইতালীয় সমাজে পুরোপুরি একীভূত হওয়ায় আমরা তাদের নিয়ে সত্যিই সন্তুষ্ট। ইতালিতে তাদের আরও বেশি প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমি এখানে আসার কারণ হলো— আপনাদের জানাতে চাই যে তাদের মধ্যে অনেকেই ইতালিতে পৌঁছানোর জন্য অবৈধ উপায়ের উপর নির্ভর করে, যা বিপজ্জনক। আমরা তাদেরই চাই, যারা আইনি কাঠামো মেনে চলে।
সমুদ্রপথে অভিবাসীদের অনিয়ন্ত্রিত আগমনকে ইউরোপীয় দেশটির জন্য 'অত্যন্ত সমস্যাজনক' উল্লেখ করে মন্ত্রী অবৈধ অভিবাসন ও সংঘবদ্ধ অপরাধ নির্মূলে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, "আমরা এখানে সহযোগিতার একটি নতুন উপায় প্রস্তাব করতে এসেছি।”
এসময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার বন্ধে বাংলাদেশ ইতালির সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশিরা স্বাগতিক দেশের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ এবং ইতালিতে তাদের সাথে যে আচরণ করা হয় তার প্রশংসা করে।’
প্রফেসর ইউনূস বলেন, আন্তর্জাতিক এমন গোষ্ঠী আছে যারা তাদেরকে অবৈধ উপায়ে প্রলুব্ধ করে ইতালিতে পাঠানোর চেষ্টা করে। এরাই মূলত সমস্যা তৈরি করে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'অভিবাসীরা মানবপাচারের সুবিধাভোগী নয়, ভুক্তভোগী।’
প্রধান উপদেষ্টা গত বছরের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠকের কথা স্মরণ করে বলেন, এসব সমস্যা মোকাবিলায় দুই দেশ নিবিড়ভাবে কাজ করবে।