শিরোনাম
◈ আইএমএফ-বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক: বিনিময় হার নিয়ে কোনো সমঝোতা ছাড়াই শেষ ◈ গ্যাসসংকট: কমছে শিল্প উৎপাদন, প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক অর্থনীতিতে ◈ পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তৌহিদ হোসেনের ফোনালাপ, কী কথা হলো? ◈ ইউরোপীয় ইউনিয়নে অর্থের বিনিময়ে নাগরিকত্বের সুযোগ শেষ ◈ দেশের পথে খালেদা জিয়া ◈ টানা দুই দফা কমার পর আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম, ভরি কত? ◈ আদানি পাওয়ারের কাছে বাংলাদেশের বকেয়া প্রায় ৯০ কোটি ডলার! ◈ তথ্য-উপাত্ত সঠিক না থাকায় ফ্যাসাদ তৈরি হচ্ছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা ◈ চিকিৎসা ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ ছাড়া সমস্যা নিরসন হবে না: প্রধান উপদেষ্টা ◈ বাতাসের মান যাচাইয়ে রাজধানীর ২৫ যায়গায় বসবে আধুনিক যন্ত্র: ডিএনসিসি  

প্রকাশিত : ০৬ মে, ২০২৫, ০৩:৩২ রাত
আপডেট : ০৬ মে, ২০২৫, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আইএমএফ-বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক: বিনিময় হার নিয়ে কোনো সমঝোতা ছাড়াই শেষ

বিনিময় হারের নমনীয়তা নিয়ে কোনো সমঝোতা ছাড়াই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে বৈঠক শেষ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ সময় সোমবার (৫ মে) সন্ধ্যায় জুম প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত পূর্বনির্ধারিত এ বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এচ মনসুর এবং দুই ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান ও কবির আহম্মদ অংশ নেন।

বৈঠকে কোনো সমঝোতা না হওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে আইএমএফের সঙ্গে পরবর্তী বৈঠক করবে বলে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে নিশ্চিত করেছে একটি সূত্র।

বর্তমান উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বিনিময় হারের নমনীয়তা বাস্তবায়ন বিলম্বিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আইএমএফের সঙ্গে এ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা।

তবে বাংলাদেশ ব্যাংক আজকের বৈঠকে কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলে মনে করে—জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা।

এর আগে ওয়াশিংটনে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে এ বিষয়ে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছানো না যাওয়ায় আজকের বৈঠকটির আয়োজন করা হয়।

নমনীয় মুদ্রা বিনিময় হার বাস্তবায়ন নিয়েই আইএমএফের সঙ্গে ঋণের কিস্তি ছাড় নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এতে আটকে আছে ১৩০ কোটি ডলার।

বাংলাদেশে আইএমএফের মোট ঋণ কর্মসূচির আকার ৪৭০ কোটি ডলার।

সংস্থাটি ফ্রি ফ্লোটিং বিনিময় হার চালুর ওপর জোর দিচ্ছে। ওয়াশিংটনের বৈঠকেও এ ধরনের প্রস্তাব দেয় আইএমএফ, যা মেনে নেননি গভর্নর মনসুর।

বর্তমানে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি, যা দিয়ে চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

তবে আইএমএফ রিজার্ভ থেকে কিছু দায় বাদ দিয়ে প্রকৃত আন্তর্জাতিক রিজার্ভ বা এনআইআর হিসাব করে, যা তাদের একটি প্রধান মূল্যায়ন সূচক।

সাম্প্রতিক ঢাকা সফরে আইএমএফের পর্যালোচনা মিশনের সময় বাংলাদেশ ব্যাংক এনআইআর ফ্লোর বাতিলের প্রস্তাব দেয়, যাতে একটি তহবিল গঠন করা যায়।

এ বিষয়ে আইএমএফ এখনো সাড়া না দিলেও, জুন নাগাদ একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছিলেন, হঠাৎ করে ফ্রি ফ্লোটিং বিনিময় হার চালু করলে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হবে।

তখন কিছু অ্যাগ্রিগেটর বেশি দামে ডলার কিনে নিয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, 'মূল্যস্ফীতি এখনো উচ্চ। এ পরিস্থিতিতে আমাদের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। ওই তহবিল গঠন করা গেলে আমরা বাজারে ডলার সরবরাহ করতে পারব এবং কারসাজি রোধ করা যাবে।'

এক্ষেত্রে ভারতের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, পুঁজির বহির্গমন ও বাণিজ্যিক অনিশ্চয়তার মধ্যে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া প্রায়ই হস্তক্ষেপ করে রুপির দর স্থিতিশীল রাখে।

তিনি আরও জানান, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক খোলা বাজারকে পাশ কাটিয়ে কাতার থেকে জ্বালানি আমদানির মূল্য সরাসরি পরিশোধ করেছে।

এতে যারা ডলার মজুত করে রেখেছিল, তারা কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। ফলে বিনিময় হার ৫০ থেকে ৬০ পয়সা পর্যন্ত কমে।

গত শনিবার প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আইএমএফ অতিরিক্ত শর্ত আরোপ করলে বাংলাদেশ ওই ঋণ নিতে সরে আসবে।

তিনি বলেন, 'আইএমএফ যদি অতিরিক্ত শর্ত দেয়, তবে বাংলাদেশ আর এ ঋণ নিতে আগ্রহী থাকবে না। কারণ সব শর্ত মানতে গেলে দেশের অর্থনীতি আরও দুর্বল হয়ে পড়বে।' উৎস: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়