দেশে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। জীবনকে সহজ করলেও অসচেতনভাবে ব্যবহার করলে এটি হয়ে উঠতে পারে বোঝা।
সামান্য অসতর্কতাই আপনাকে ঋণের ফাঁদে ফেলতে পারে। সময়মতো বিল না দেওয়া, অতিরিক্ত খরচ, একাধিক কার্ড ব্যবহার বা টাকা তোলা—এসব কারণে দ্রুত ঋণ ফুলে–ফেঁপে ওঠে। তাই সচেতন ব্যবহার জরুরি।
কিছু ভুলে ফেঁসে যান ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীরা। এখানে এমন ছয়টি ভুলের তথ্য দেওয়া হলো।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের অভ্যন্তরে মোটাদাগে ১১টি খাতে ক্রেডিট কার্ড বেশি ব্যবহৃত হয়। এসব খাতের মধ্যে রয়েছে ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, খুচরা কেনাকাটা, বিভিন্ন পরিষেবার বিল প্রদান, নগদ উত্তোলন, ওষুধ ও ফার্মেসি, পোশাক কেনাকাটা, অর্থ স্থানান্তর, পরিবহন খাতে ব্যয়, বিভিন্ন ব্যবসায়িক ও পেশাদারি সেবা এবং সরকারি সেবার বিল প্রদানে। বাংলাদেশে ১৯৯৭ সালে তৎকালীন এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংক (বর্তমানে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড) প্রথম ক্রেডিট কার্ড সেবা নিয়ে আসে। বর্তমানে দেশে ৪০টির মতো ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সেবা দিচ্ছে।
১. বাজেটের বাইরে খরচ
রিওয়ার্ড পয়েন্ট ও অফারের লোভে অনেকেই পরিকল্পনার বাইরে খরচ করেন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, মাসিক আয়ের সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশের বেশি যেন কার্ডে খরচ না হয়। বাজেটের বেশি খরচ করলে আপনার ওপর চাপ বাড়বে।
২. শুধু ন্যূনতম টাকা পরিশোধ
প্রতি মাসে কেবল ন্যূনতম পরিশোধ করলে সুদ বাড়তে থাকে। বার্ষিক সুদের হার তরতর করে বেড়ে যায়। এতে ঋণ দ্রুত ফুলে ওঠে। তাই ন্যূনতম পরিশোধ নয়, সামর্থ্য অনুযায়ী পরিশোধ করুন।
৩. একাধিক কার্ডে নির্ভরতা
বেশি কার্ড ব্যবহারে আসল ঋণ আড়াল হয়, ফলে পরিশোধ জটিল হয়ে ওঠে। এক কার্ডের ঋণ মেটাতে অন্য কার্ড ব্যবহার করা আরও বিপজ্জনক। এটি এড়িয়ে চলুন।
৪. বিল পরিশোধে দেরি
বিলম্বে পরিশোধ করলে জরিমানা, ক্রেডিট স্কোর কমে যাওয়া ও সুদমুক্ত সময় হারানোর ঝুঁকি থাকে। তাই সময়সীমা অবহেলা করা যাবে না।
৫. কার্ড থেকে নগদ তোলা
এটিএম থেকে টাকা তুললে সঙ্গে সঙ্গে সুদ আরোপ হয়। সুদমুক্ত–সুবিধাও বাতিল হয়ে যায়। জরুরি না হলে নগদ তোলা উচিত নয়।
৬. নানা অফারে ফেঁসে যাওয়া
খরচহীন ইএমআই বা বাই নাউ পে লেটার, এ ধরনের অফার অনেক সময় আপনার জন্য সব সময় লাভজনক না–ও হতে পারে। লুকানো চার্জ ও যৌগিক সুদে ঋণ বেড়ে যায়।