শিরোনাম
◈ ‘অপারেশন সিন্দুর’ ভারতের আধিপত্যকে ক্ষুণ্ন করেছে ◈ আপনাদের বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে, কিন্তু পাকিস্তানিরা আসলেই মেধাবী: ডোনাল্ড ট্রাম্প ◈ সন্তান লাভের আশায় প্রতারককে দিলেন ২৫ ভরি স্বর্ণ! (ভিডিও) ◈ ফেসবুক পোস্টে প্রতিক্রিয়া দেওয়ায় মৎস্য অধিদপ্তরের পাঁচ কর্মকর্তাকে নোটিশ ◈ নির্বাচনের জন্য ঘেরাও করা লাগলে, এটা হবে দুর্ভাগ্যজনক: সালাহউদ্দিন আহমদ  ◈ গাইবান্ধায় দুই হ্যাকারের বাড়িতে অভিযানে যা পেলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী (ভিডিও) ◈ সরকারের ভেতরে-বাইরে অস্থিরতা দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে: তারেক রহমান ◈ রাজধানীর যেসব এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করল ডিএমপি ◈ বাজারভিত্তিক হার চালুর ৩ দিনের মাথায় ডলারের দাম বাড়ল ◈ ঢাকাসহ ১১ জেলায় রাত ২টার মধ্যে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে

প্রকাশিত : ১৭ মে, ২০২৫, ০৬:৫৩ বিকাল
আপডেট : ১৮ মে, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আগে ঋণ পরিশোধ করবে নাকি কোরবানি করবে?

কোরবানির বিধানে আছে আত্মত্যাগের ঐতিহাসিক মহিমা। কোরবানি শুরু হয়েছিল হযরত আদম (আ.)-এর দুই ছেলে হাবিল ও কাবিল থেকে। পরবর্তীতে কোরবানির জন্য হযরত ইবরাহিম (আ.) ও তার শিশুপুত্র ইসমাইল (আ.)-এর আত্মবিসর্জন কিয়ামত পর্যন্ত প্রতিটি মুমিনের জন্য অনন্য শিক্ষা ও প্রভুপ্রেমের পাথেয়।

জাকাত এবং কোরবানির জন্য নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকা জরুরি। তবে জাকাত আদায়ের জন্য সম্পদ পুরো এক বছর থাকা আবশ্যক। তবে কোরবানির নেসাবের ক্ষেত্রে বছর অতিক্রম করা শর্ত নয়। বরং জিলহজের ১০ তারিখ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের মধ্যে যেকোনো সময় নিসাবের মালিক হলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে। বছর অতিক্রম হয়েছে কি হয়নি; তা দেখা হবে না। (আহসানুল ফাতাওয়া: ৭/৫০৬)

 নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক যদি কোরবানির দিনগুলোতে সাময়িক ঋণগ্রস্ত থাকেন, যা পরিশোধ করে দিলে তার কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদ বাকি থাকে না, তাহলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে না। আর যদি ঋণ আদায় করে দিলেও নেসাব পরিমাণ সম্পদ বাকি থাকে তাহলে তার ‍ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯২)
 
 কোরবানির জন্য হিসাবযোগ্য পণ্য

কোরবানির নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য পণ্য হলো: টাকা-পয়সা, সোনা-রুপা, অলংকার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজন আসে না- এমন জমি, প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাড়ি-গাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সব আসবাব।

কত টাকা থাকলে কোরবানি দিতে হয়? 
 
কোরবানির নেসাবের পরিমাণ হলো: স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৮৭ দশমিক ৪৫ গ্রাম) ভরি, রুপার ক্ষেত্রে সাড়ে ৫২ (৬১২ দশমিক ১৫ গ্রাম) ভরি। টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে নিসাব হলো: এর মূল্য সাড়ে ৫২ ভরি রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হতে হবে।

সোনা বা রুপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি আলাদাভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত একাধিক বস্তু মিলে সাড়ে ৫২ তোলা রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাহলেও তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব। 

কত টাকা থাকলে এ বছর কোরবানি ওয়াজিব হবে- তা জানতে হলে আগে রুপার মূল্য জেনে নিতে হবে।

গত শনিবার (১ জুন) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) দর অনুযায়ী, সাড়ে ৫২ তোলা ২২ ক্যারেট রুপার দাম হলো ১ লাখ ১০ হাজার ১৮৭ টাকা। সাড়ে ৫২ তোলা ২১ ক্যারেট রুপার দাম ১ লাখ ৫ হাজার ২৯০ টাকা। আর ১৮ ক্যারেট রুপা সাড়ে বায়ান্ন তোলার দাম পড়ে প্রায় ৯০ হাজার টাকা। সনাতন পদ্ধতির রুপা সাড়ে ৫২ ভরির দাম ৬৭ হাজার ৩৩৭ টাকা।

সুতরাং কোরবানির দিনগুলোতে কারো কাছে ন্যূনতম হিসাবে যদি সাড়ে ৬৭ হাজার টাকা বা এর সমমূল্যের প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থাকে, তাকে কোরবানি দিতে হবে। তবে কোরবানি যেহেতু ১০ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ সময়ের মধ্যে ওয়াজিব হয়, সে সময়ের দাম হিসাব করতে হবে। কারণ ততদিনে রুপার দাম কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। কোরবানি ওয়াজিব হয় ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সাড়ে ৫২ ভরি রুপার যে দাম থাকবে, তার ওপর ভিত্তি করে। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/১৯৬,আলমুহীতুল বুরহানি: ৮/৪৫৫) 

তাই কারও কাছে যদি এতো সম্পদ থাকে যে, ঋণ আদায় করার পরও নেসাব পরিমাণ সম্পদ প্রয়োজন অতিরিক্ত অবশিষ্ট থাকে, তাহলে তার উপর কোরবানি আবশ্যক হবে। আর যদি এতোটুকু সম্পদ না থাকে,তাহলে কোরবানি আবশ্যক হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬)

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়