শিরোনাম
◈ বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন ◈ রংপুরের হাসপাতাল নেপাল ও ভুটানের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে: প্রধান উপদেষ্টা ◈ ড. ইউনূসের কোনো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নেই: প্রেস সচিব ◈ আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে ডিএমপির বার্তা ◈ আ. লীগের নিবন্ধন বাতিল ইস্যুতে বৈঠক শেষে যা বলছে ইসি (ভিডিও) ◈ প্রবাসী আয়ে সর্বকালের রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ! ◈ জুলাই-আগস্টের সকল হত্যাকাণ্ডের দায় শেখ হাসিনার: চিফ প্রসিকিউটর ◈ স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে প্রয়োজন সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা : প্রধান উপদেষ্টা ◈ চোখ বেঁধে গুজরাট থেকে উড়োজাহাজ-লঞ্চে করে আনা হয়েছে, জানালেন ভুক্তভোগীরা ◈ টেস্ট থেকে অবসরে কোহলি

প্রকাশিত : ১২ মে, ২০২৫, ১১:৪৯ দুপুর
আপডেট : ১২ মে, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হজ না করে মারা গেলে ওয়ারিশদের করণীয় কী

ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিধান হজ। আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান এবং শারীরিকভাবে সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানদের ওপর হজ ফরজ। ফরজ হজ যথাসম্ভব দ্রুত আদায় করা উচিত।

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যে হজ করার ইচ্ছা করে, সে যেন তাড়াতাড়ি আদায় করে নেয়। কারণ যেকোনো সময় সে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে বা বাহনের ব্যবস্থাও না থাকতে পারে; অথবা অন্য কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।’ (মুসনাদে আহমাদ: ১৮৩৩)

তবে কারও শারীরিক সক্ষমতা শেষ হয়ে গেলে অথবা অসুস্থ হয়ে গেলে এবং সুস্থ হওয়ার সামান্যতম কোনো সম্ভাবনা না থাকলে, তার জন্য অন্য কাউকে দিয়ে বদলি হজ আদায় করানো অথবা নিজের জীবদ্দশায় বদলি হজের অসিয়ত করে যাওয়া উচিত। এরপর ওয়ারিশগণ মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি থেকে খরচ করে কোনো বিশ্বস্ত ব্যক্তির মাধ্যমে বদলি হজ করিয়ে নেবেন। এটা তাঁদের ওপর অত্যাবশ্যকীয় করণীয়।

কিন্তু কেউ যদি অন্যকে দিয়ে বদলি হজের অসিয়ত করানোর আগেই ইন্তেকাল করে, তাহলে তার ওয়ারিশদের কর্তব্য হলো মৃতের সম্পদ থেকে খরচ করে তার পক্ষ থেকে কাউকে দিয়ে বদলি হজ আদায় করানো। আর মৃত্যুর পর সেই ব্যক্তির সম্পদ না থাকলে প্রাপ্তবয়স্ক ওয়ারিশদের স্বতঃস্ফূর্ত ব্যয়ের মাধ্যমে এই বদলি হজ করানো উচিত।

এক মহিলা নবীজি (সা.)-এর কাছে এসে বলল, ‘আমার মা মানত করেছিলেন তিনি হজ করবেন। কিন্তু তা পূর্ণ করার আগেই তিনি মারা গেছেন। (এখন আমার করণীয় কী?)’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তুমি তাঁর পক্ষ থেকে হজ আদায় করে নাও। বলো তো, যদি তোমার মা কারও নিকট ঋণী হতেন, তুমি কি তাঁর ঋণ পরিশোধ করতে না?’ মহিলা বলল, ‘হ্যাঁ।’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘তোমরা আল্লাহর ঋণ পরিশোধ করো। কেননা তিনি প্রাপ্য পাওয়ার অধিক হকদার।’ (সহিহ্ বুখারি)

সূত্র: আজকের পত্রিকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়