আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। এ কারণেই এমন পদক্ষেপ নিল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপে স্বাগত জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত বছর নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
এরপর বেশ কয়েকটি দেশ আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে। তবে ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র আইসিজের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার নিন্দা জানিয়েছে এবং আদালতের বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ দিয়েছে।
মূলত, সংস্থাটির ওপর বিধিনিষেধ আরও বাড়ানো হয়েছে যাতে ইসরায়েলি নেতাদের বিচার না হয়। গত বুধবার (২০ আগস্ট) এই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন। তিনি জানান, নতুন করে আইসিসির আরও দুই বিচারক ও দুই আইনজীবীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের অনুমোদনে। রুবিও এর কারণ হিসেবে এক বিবৃতিতে বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত একটি জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি। এটি যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইনের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই ঘোষণায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
সংস্থাটি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বর্ধিত নিষেধাজ্ঞাগুলো একটি নিরপেক্ষ বিচারিক প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা এবং বিশ্বজুড়ে যুদ্ধাপরাধের শিকার মানুষের বিরুদ্ধে স্পষ্ট আক্রমণ। আইসিসি কোনো নিষেধাজ্ঞা, চাপ বা হুমকির তোয়াক্কা না করে কাজ চালিয়ে যাবে।