শনিবার সাতসকালে হাড়হিম করা দৃশ্য দেখলো পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তী থানা এলাকার ভরতগড় গ্রামের মানুষজন। এক হাতে ধারালো অস্ত্র। অন্য হাতে ভাবির কাটা মাথা। ভরা রাস্তা ধরে হেঁটে গিয়ে বাসন্তী থানায় আত্মসমর্পণ করলেন দেবর। নিহত সতী মণ্ডল বাসন্তীর ভরতগড় এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত বিমল মণ্ডলও একই এলাকাতেই থাকেন। নিহত এবং অভিযুক্ত সম্পর্কে ভাবি ও দেবর।
স্থানীয়দের দাবি, শনিবার সকালে স্থানীয় একটি মাঠে দাঁড়িয়ে দু’জনের বাকবিতণ্ডা চলছিল। অভিযোগ, তারই মাঝে আচমকা চপার দিয়ে ভাবিকে আক্রমণ করে বিমল। ধড় থেকে মাথা আলাদা হয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ছিটকে পড়েন সতী। এরপর এক হাতে কাটা মাথা এবং অপর হাতে চপার নিয়ে হাঁটতে শুরু করে বিমল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, একেবারে ভাবলেশহীনভাবে হেঁটে যাচ্ছে বিমল। আশপাশের পথচলতি মানুষ তাকে দেখে আঁতকে ওঠেন। ধীরে ধীরে হেঁটে বাসন্তী থানায় পৌঁছয় অভিযুক্ত । তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কাটা মাথা এবং ধারালো অস্ত্রটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, বউদি এবং দেবরের মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরে পারিবারিক বিবাদ চরমে পৌঁছায়। তার জেরেই শনিবারের নৃশংস ঘটনা। তবে দু’জনের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত হল কীভাবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অভিযুক্তকে জেরা করে এই সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে বলেই মনে করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। সে কারণে অভিযুক্তকে চলছে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ।