পার্সটুডে- ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ আন্দোলনের মহাসচিব আব্দুল মালিক বদরুদ্দিন আল হুথি বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল ৬০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালাচ্ছে, গাজার সমর্থনে আমাদের পরবর্তী ধাপের অভিযান আরও কার্যকর হবে।
আনসারুল্লাহ মহাসচিব বৃহস্পতিবার বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রতিক্রিয়া যত কঠোরই হোক না কেন, প্রিয় ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে ইয়েমেনি জনগণের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসবে না।
পার্সটুডে জানাচ্ছে, গাজার সমর্থনে অভিযান ব্যাখ্যা করে আনসারুল্লাহ নেতা বলেন, 'এ সপ্তাহে আমরা ইহুদিবাদী ইসরাইলের গভীরে ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে অভিযান পরিচালনা করেছি। ইসরাইলের জাফা, হাইফা, আশকেলন এবং উম্মে আল-রাশাশে ইসরাইলি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা হয়েছে। লোহিত সাগর ইসরাইলি বাহিনীর জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সেখানে ইসরাইলি শত্রুদের জন্য নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ রয়েছে।'
ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, দখলদার ইসরাইলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।
বিমান বন্দরে হামলাটি সফল হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। এই হামলার পর বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এবং লাখ লাখ ইহুদিবাদী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ আন্দোলনের উপ-তথ্য কর্মকর্তা নাসরুদ্দিন আমের এক বিবৃতিতে বলেছেন, বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর এখন আর নিরাপদ নয় এবং এই বিমানবন্দরে ইয়েমেনি সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে। নাসরুদ্দিন আমেরের মতে, গাজায় হামলা বন্ধ ও অবরোধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত সমস্ত বিদেশি বিমান সংস্থাগুলোর উচিৎ তাদের নিজেদের ও যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর এড়িয়ে চলা।
ইয়েমেনি রকেট হামলার পর ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রীর পলায়ন
ইসরাইলি পত্রিকা ইয়েদিযুথ আহরোনোথ জানিয়েছে, বেইতার জেরুজালেম এবং হাপোয়েল বেয়ারশেবার মধ্যে একটি ফুটবল ম্যাচ চলাকালে ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় সাইরেন বেজে উঠলে ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জোগ ও তার স্ত্রী স্টেডিয়াম থেকে পালিয়ে যায়। ইয়েমেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে বৃহস্পতিবার রাতে ফুটবল প্রতিযোগিতা 'ইসরাইল কাপ'-এর ম্যাচটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।