মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে একের পর এক আলোচনার জন্ম দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। এখন থেকে মার্কিন নাগরিকদের কোনও বক্তব্য সেন্সর করলেও ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারেন অন্য দেশের নাগরিকরা। বুধবার (২৮ মে) এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
রুবিও বলেছেন, মার্কিন মুলুকে বসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা বলার জন্য বিদেশি কর্মকর্তারা অনেক সময় আইনি পদক্ষেপ নেন, যা গ্রহণযোগ্য নয়। তাই, মার্কিন নাগরিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বা কোনও সেন্সরশিপ করলে জড়িত বিদেশি কর্মকর্তাদেরও প্রয়োজনে ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হবে।
অবশ্য, সেন্সর বলতে ঠিক কী বোঝাচ্ছেন, তা স্পষ্ট করেননি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে, সাম্প্রতিক একটি আইন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে মতপ্রকাশে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো।
সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মালিকানা প্রতিষ্ঠান মেটা বলেছিল, ইউরোপীয় ইউনিয়নে ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট নামে একটি আইন তৈরি করা হয়েছে, যার মাধ্যমে তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের মতামত নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। গত মার্চে মার্কিন যোগাযোগ পরিষদের প্রধান বলেছিলেন, ওই আইনের মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে।
নতুন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বিদেশি কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টাও ঠেকানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন রুবিও। তিনি বলেছেন, কিছু বিদেশি কর্মকর্তা মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও নাগরিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। তারা বৈশ্বিক নীতি মেনে মার্কিন প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মগুলোকে পরিচালনার পরামর্শ দিচ্ছেন। তাদের এখতিয়ার বহির্ভূত কাজ একদমই গ্রহণযোগ্য নয়। উৎস: বাংলাট্রিবিউন।