শিরোনাম
◈ ২০ নেতার সঙ্গে দুই দফায় সাক্ষাৎ করবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ ◈ মেয়র হিসেবে শপথ নিতে হাইকোর্টে ইশরাক হোসেনের রিট ◈ ঐকমত্য না হওয়া বিষয়গুলো জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে: আলী রীয়াজ ◈ রপ্তানি ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে, মার্কিন বাজারে প্রবেশে বাংলাদেশের জন্য কঠিন সময়: জাতিসংঘের সতর্কবার্তা ◈ চট্টগ্রাম বন্দর কাউকে দিচ্ছি না: প্রেস সচিব (ভিডিও) ◈ এনবিআর বিলুপ্তির প্রতিবাদে কর্মবিরতি: কার্যত অচল আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবন ◈ সালাহউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে যে পোস্ট দিলেন প্রেসসচিব ◈ পর্দার আড়ালে যা ঘটেছে! ◈ চরম গরমে স্বস্তি আনতে হজ রুটে ঠান্ডা ও রাবারযুক্ত রাস্তা চালু করলো সৌদি আরব

প্রকাশিত : ২৫ মে, ২০২৫, ০৭:৪২ সকাল
আপডেট : ২৫ মে, ২০২৫, ০৪:২০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইরানের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছাতে ওয়াশিংটনকে বাধা দিচ্ছে তেল আবিব এবং মার্কিন লবি

আমেরিকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশ্লেষক জন মের্শাইমার মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন যে ইরান যাতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধি করতে না পারে সেজন্য ইহুদিবাদী ইসরাইলি সরকার ওয়াশিংটনের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক চিন্তাবিদ জন মের্শাইমার পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে বিশেষ করে ইরান, গাজা এবং ইউক্রেন ইস্যুতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কর্ম তৎপরতার সমালোচনা করেছেন। পার্সটুডে অনুসারে, তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, ইহুদিবাদী ইসরাইলি সরকার এবং ওয়াশিংটনে তাদের লবির চাপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সাথে পারমাণবিক আলোচনাকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। গাজায় নির্মম গণহত্যার মুখে নীরব রয়েছে এবং ইউক্রেনের যুদ্ধে একটি ব্যর্থ কৌশল অনুসরণ করছে।

মের্শাইমার উল্লেখ করেছেন যে ট্রাম্প এবং তার দল প্রাথমিকভাবে ইরানের সাথে একটি চুক্তি চেয়েছিলেন এবং মার্কিন আলোচনাকারী দলে নমনীয়তার লক্ষণও ছিল। তিনি আরো বলেন,  মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ হুইটেকার প্রাথমিকভাবে সীমিত স্তরে ইরানের সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছিলেন, কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে এই উপাদান ছাড়া কোনো চুক্তি সম্ভব হবে না।

বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক সম্পর্ক চিন্তাবিদ বলেন: 'উইটকফ প্রথমে ইরানকে ইউরোনিয়াম সমৃদ্ধ করার অনুমতি দিয়েছিলেন কারণ তিনি জানতেন যে এটিই একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর একমাত্র উপায় কিন্তু ইসরাইল এবং তার লবি এটিকে অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করে।'  'ইসরাইল এবং মার্কিন নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চরমপন্থী উপাদানগুলোর চাপ তীব্র হওয়ার পর, উইটকফ পিছু হটতে এবং তার দাবি পরিবর্তন করতে বাধ্য হন।'

তিনি আরো বলেন: "ট্রাম্প এবং হুইটেকারকে যে বার্তা দেওয়া হয়েছিল তা হলো, কোনও সমৃদ্ধি গ্রহণযোগ্য নয়।"

মের্শাইমারের অবস্থানের এই পরিবর্তনকে নিরাপত্তার বাধ্যবাধকতার জন্য নয় বরং "ইসরাইলি স্বার্থের প্রতি আমেরিকার আনুগত্য" বলে দায়ী করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে আন্তর্জাতিক চুক্তির অধীনে ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির অধিকার রয়েছে এবং তেহরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা বজায় রাখার ইচ্ছা বৈধ।

ট্রাম্প এবং নেতানিয়াহুর মধ্যে মতপার্থক্য কি বাস্তব?

ট্রাম্প এবং ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে "রিপোর্ট করা মত পার্থক্যে' 'আসল' কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মের্শাইমার আরো বলেন,  "ট্রাম্প হয়তো মধ্যপ্রাচ্যের প্রতি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিতে চাইবেন কিন্তু এমন কোনও ইঙ্গিত নেই যে তিনি নেতানিয়াহু এবং ইসরাইলি লবির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চান।" 'এই আপাত বিভেদ বা সংঘর্ষ বাস্তবের চেয়ে বেশি নাটকীয়।'

তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে ইরান, ফিলিস্তিন এবং আঞ্চলিক দৃষ্টিভঙ্গির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে ট্রাম্প কার্যত তেল আবিবকে সন্তুষ্ট করে এমন একই নীতি অনুসরণ করছেন।

মের্শাইমার স্পষ্টভাবে গাজায় যা ঘটছে তাকে "গণহত্যা" বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে ইহুদিবাদী ইসরাইলি সরকার পরিকল্পিতভাবে অনাহার এবং অপুষ্টিকে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। তিনি আরো বলেন: 'এমন খবরও পাওয়া গেছে যে কিছু ট্রাক খাবারের পরিবর্তে কাফনের কাপড় বহন করছে।' "মানবিক সাহায্য সেখান সীমিত এবং কার্যত কিছুই মানুষের কাছে পৌঁছায় না।"

অ্যারন মাতেহের মত সাংবাদিকদের প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক সম্পর্ক চিন্তাবিদ বলেন, সহায়তার মাত্রা এত কম যে গাজার প্রতিটি ব্যক্তি দিনে মাত্র চারটি বিস্কুট পান।

গাজায় ইহুদিবাদীদের ব্যাপক সমর্থনের কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন,  'ইসরাইলে এই নীতির বিরুদ্ধে কোনো অর্থপূর্ণ প্রতিবাদ নেই।' এই সমাজ নৈতিকভাবে ভেঙে পড়ছে। 'নাৎসি জার্মানিতে আমরা যা দেখেছি তার মতোই।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়