হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরে রাহিম হাওলাদার (২৪) নামে এক বড় ভাইয়ের কাচির আঘাতে ছোট ভাই কাইয়ুম হাওলাদারের (২০) নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ইউনুছ হাওলাদার বাদি হয়ে বড় ছেলে রাহিম হাওলাদারকে আসামি করে শনিবার দিবাগত রাতে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
রবিবার (২৫ মে) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদেশে যাওয়ার টাকা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডের এক পযায়ে বড় ভাই রাহিম হাওলাদার ছোট ভাইয়ের পেটে কাচি দিয়ে আঘাত করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শনিবার মারা যান।
কাইয়ুম ও রাহিম জেলার সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নে ইছাইল গ্রামের ইউনুছ হাওলাদার ছেলে। বড় ভাই রাহিম ফরিদপুর শহরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে পান বিড়ির দোকানীর ব্যবসা করেন। ছোট ভাই কাইয়ুম বেকার ছিলেন।
থানা ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নে ইছাইল গ্রামের ইউনুছ হাওলাদার তার ছোট ছেলে কাইয়ুম হাওলাদারকে বিদেশে পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বিদেশের পাঠানোর জন্য গত ২২ মে কাইয়ুমকে বাবা ইউনুছ হাওলাদার পাঁচ লাখ টাকা দেন। এ খবর শুনে বড় ছেলে রাহিম হাওলাদারও বিদেশে যাওয়ার বায়না ধরেন বাবা ইউনুছ হাওলাদারের কাছে। কাইয়ুম বেকার তাই তাকে আগে পাঠাই, তারপুর তোকে পাঠাবো একথা বলেন তাদের বাবা। বাবার এ কথা শুনে বড় ভাই রাহিম বৃহস্পতিবার দুপুরে কাইয়ুমের সাথে বাকবিতান্ডের এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে ছোট ভাইকে পেটে দেশীয় কাস্তে (কাচি) দিয়ে আঘাত করে।
এ ঘটনায় মারাত্মক জখম অবস্থায় কাইয়ুমকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শনিবার দুপুরে কাইয়ুম হাওলাদার মারা যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। এ ঘটনা শনিবার দিবাগত রাতে বাবা ইউনুছ হাওলাদার ছোট ছেলে কাইয়ুমের মৃত্যুর ঘটনায় বড় ছেলে রাহিমকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ইউনুছ হাওলাদার বাদি হয়ে বড় ছেলে রাহিমের নামে মামলা করেছেন। নিহতের বড় ভাই আসামি রাহিমকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।