শিরোনাম
◈ ইতালিতে কড়া অভিবাসন নীতি, টার্গেটে বাংলাদেশিরা! ◈ তরুণী মা'রধরের নেপথ্যে লঞ্চের ভেতরে সেদিন কী ঘটেছিল? ভিডিও প্রকাশ্যে ◈ সারা দেশে এনআইডি সেবা কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ◈ রমনা বটমূলে বোমা হামলা: দুজনের যাবজ্জীবন, ৯ জনের ১০ বছর কারাদণ্ড ◈ সঞ্চয়পত্র কেনার নতুন নিয়ম ◈ মানবিক করিডর নিয়ে সরকার সবাইকে অন্ধকারে রেখেছে : মেজর হাফিজ ◈ ব্যাংক থেকে ধার করে, টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করব না: অর্থ উপদেষ্টা ◈ আন্দালিব রহমান পার্থের স্ত্রীকে বিদেশ যাত্রায় বাধা ◈ যেভাবে আটক হন সাবেক এমপি কণ্ঠশিল্পী মমতাজ (ভিডিও) ◈ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সহায়তা পেতে যোগাযোগের নাম্বার দেয়া হল

প্রকাশিত : ১৩ মে, ২০২৫, ০৯:৫৫ সকাল
আপডেট : ১৩ মে, ২০২৫, ০৩:৪৩ দুপুর

প্রতিবেদক : আর রিয়াজ

গার্ডিয়ান থেকে বিবিসি; পশ্চিমা গণমাধ্যম কীভাবে ইসরাইলি অপরাধকে স্বাভাবিক হিসেবে প্রচার করে?

মূলধারার পশ্চিমা গণমাধ্যম যারা একসময় নিজেদেরকে সত্য ও গণতন্ত্রের রক্ষক বলে মনে করত আজ তারা তথ্য বিকৃত করার এবং অপরাধকে ন্যায্যতা দেওয়ার হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।

গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলি গণহত্যার খবর প্রচাররের ক্ষেত্রে পশ্চিমা গণমাধ্যমের পতন সবার সামনে এবার উন্মোচিত হয়েছে। যেমন গার্ডিয়ান, বিবিসি এবং স্কাই নিউজের মতো গণমাধ্যমগুলো নিষ্ক্রিয় ও দুর্বল ভাষা, সমালোচনামূলক প্রেক্ষাপট বাদ দিয়ে এবং ইসরাইলি বর্ণনার পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে মানবিক ট্র্যাজেডিকে খাটো করে দেখানোর ক্ষেত্রে সরাসরি ভূমিকা পালন করেছে।

উদাহরণস্বরূপ হিন্দ রজবের নৃশংস হত্যাকাণ্ড  নিয়ে বিবিসির শিরোনাম এই রকম ছিল: "হিন্দ রজবকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে" । স্কাই নিউজ গাজায় চিকিৎসা কর্মীদের উপর ভয়াবহ গণহত্যাকে "কথিত হত্যাকাণ্ড" হিসেবেও বর্ণনা করেছে।

সংবাদ প্রচারে দ্বৈত নীতি

যদিও গার্ডিয়ানসহ পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো ইউক্রেন যুদ্ধের "রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কয়েক ডজন নিহত" (গার্ডিয়ানের একটি শিরোনাম) প্রতিবেদনে রাশিয়ার স্পষ্ট নিন্দা জানিয়েছে, তারা ইসরাইলের ক্ষেত্রে অস্পষ্ট এবং পক্ষপাতদুষ্ট ভাষা ব্যবহার করছে। উদাহরণস্বরূপ, গাজায় ইসরাইলের গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য বন্ধ করে দেওয়াকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে নয় বরং "যুদ্ধবিরতি চুক্তি পরিবর্তনের প্রচেষ্টা" হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

মার্চ মাসে যখন ইসরাইল গাজায় চিকিৎসা সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তার কয়েক সপ্তাহ আগে আরেকটি অবৈধ অবরোধ আরোপ করে জ্বালানি, পানি এবং খাবার দিতে অস্বীকার করে তখন গার্ডিয়ান এটিকে "যুদ্ধবিরতি চুক্তি পরিবর্তনের" ইসরাইলি প্রচেষ্টা হিসাবে বর্ণনা করে। জাতিসংঘ কর্তৃক নিন্দা করা মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং সম্মিলিত শাস্তির একটি কাজকে বিভ্রান্তিকরভাবে একটি আলোচনার কৌশল এবং একটি সামরিক কৌশল হিসাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল, যেন এটি একটি বৈধ কাজ।

স্বাধীন সাংবাদিকতা দাবিকারী দ্য গার্ডিয়ান তাদের প্রতিবেদনে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার কথা উল্লেখ না করেই ইসরাইলি হামলাকে "সুনির্দিষ্ট এবং লক্ষ্যবস্তু" হিসেবে বর্ণনা করেছে।

গার্ডিয়ানে রাজনৈতিক চাপ এবং সেন্সরশিপ

অভ্যন্তরীণ নথি এবং প্রতিবেদনগুলো দেখায় যে ইসরাইলি লবি গার্ডিয়ানের সম্পাদকীয় কর্মীদের প্রভাবিত করেছে। গাজা গণহত্যার তুঙ্গে থাকাকালীন একজন ইসরাইলি জেনারেলের সাথে দ্য গার্ডিয়ানের সম্পাদকের সাক্ষাৎ এবং সেই সাথে সংবাদমাধ্যমটির নির্দেশনার প্রতি কর্মীদের ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ সংবাদপত্রটির রাজনৈতিক চাপের কাছে আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত দেয়।

পশ্চিমা বিশ্বে মুক্ত গণমাধ্যমের মিথের অবসান

পরিশেষে,এটা বলতেই হবে যে গার্ডিয়ানের মতো সংবাদমাধ্যম আর নিজেদের নিরপেক্ষ বলে দাবি করতে পারে না। ইসরাইলের অপরাধকে স্বাভাবিক করে তোলার মাধ্যমে তারা কেবল জনসাধারণের আস্থা হারিয়ে ফেলেনি বরং পদ্ধতিগত সহিংসতাকে আড়াল করে এমন প্রচারণা যন্ত্রের অংশ হয়ে উঠেছে। গণমাধ্যমের এই পতন স্বাধীন ও জবাবদিহিমূলক সাংবাদিকতাকে নতুন করে ঠেলে সাজানোর প্রয়োজনীয়তাকে আগের চেয়ে আরও জরুরি করে তুলেছে।#

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়