ইতালির বিভিন্ন প্রদেশ থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বাংলাদেশী অভিবাষীদের। আশ্রয় আবেদন নাকচ কিংবা ছোটখাট অপরাধের ভিত্তিতে নেয়া হচ্ছে এই পদক্ষেপ। অনেকেই রয়েছেন গ্রেপ্তারের মুখে।
সর্বশেষ সিসিলির পালের মো থেকে জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগে আটক হয়েছেন দুই বাংলাদেশী। এছাড়া ইতালির আন-কোন থেকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন নরসিংদীর রানা মিয়া। পরে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। একই সঙ্গে ফেরত পাঠানো হয়েছে ঢাকার মারুফ রায়হান, নওগার হাবিবুর রহমান ও সুনামগঞ্জের ইমরান শিকদারকে।
অবৈধ অভিভাষীদের নিয়ে কাজ করেন সুমি তাহের। তিনি বলছেন, আইনি প্রক্রিয়া না জানার কারণেই বিপাকে পড়ছেন অনেকে। একইভাবে কমিউনিটির নেতারাও সতর্ক করছেন সবাইকে বৈধ পথে ইউরোপে আসার ব্যাপারে। অবৈধ বাঙালিদেরকে এখান থেকে পাঠিয়ে দেওয়ার মূলত কারণ হচ্ছে তারা যখন এখানে আসে নতুন করে যখন আবেদন করে তাদের কমিশনের ডেটটা খুব শীঘ্রই হয়ে যায়।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি যেকোন উপায়ে ইতালিতে অবৈধ প্রবেশ ঠেকানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এখানে ইতালিয়ানদের সাথে সাথে বাংলাদেশীদের বসবাস করার জন্য বৈধ উপায়ে বাংলাদেশীদের আনার যে প্রচেষ্টা যে অব্যাহত রাখার একটা আহ্বান জানিয়েছেন সেটার একটা ফল। ২০১৭ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে স্বাক্ষরিত এক চুক্তির অধীনে এসব বাংলাদেশীকে ফেরত পাঠানোর সুযোগ পায় ইতালি। তবে আগে কখনো এত জোরালোভাবে সেই চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি।
বিস্তারিত দেখুন সময়টিভির ভিডিওতে