সুখ একটি মানসিক অবস্থার নাম। তবে প্রকৃতপক্ষে এই সুখ অনুভব করতে চাইলে আগে নিজেকে প্রাধান্য দিতে হয়। অন্যের জন্য ভালো কিছু করা অবশ্যই প্রশংসনীয়, তবে নিজের সুখকে কখনোই দ্বিতীয় স্থানে রাখা উচিত নয়। নিজেকে খুশি রাখলে আশেপাশের মানুষদের মাঝেও ইতিবাচকতা ছড়িয়ে দেওয়া সহজ হয়। শুধু বড় সাফল্যেই নয়, ছোট অর্জনগুলোতেও খুশি হোন। শুধু কাঙ্ক্ষিত কিছু পাওয়ার জন্য নয়, জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত ও প্রিয়জনদের জন্যও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিচের এই আটটি অভ্যাস যদি আপনি প্রতিদিনের জীবনে নিয়মিতভাবে পালন করেন, তাহলে জীবনের মান যেমন বাড়বে, তেমনি হৃদয় ভরে উঠবে প্রকৃত সুখে।
১. অভিজ্ঞতার মূল্য দিন, বস্তু নয়:
কঠোর পরিশ্রমে উপার্জিত অর্থ কেবল জিনিস কেনার পেছনে নয়, স্মৃতির পেছনেও ব্যয় করা উচিত—যেগুলো সারাজীবন মনে থেকে যায়। বস্তুগত সম্পদের চেয়ে এমন স্মৃতিই এনে দেয় বেশি স্থায়ী সুখ।
২. প্রতিদিন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন:
একটি সরল ও পরিশীলিত জীবনের অন্যতম সেরা মন্ত্র হলো প্রতিদিন কৃতজ্ঞ থাকা। যা কিছু আপনার জীবনে আছে, সেগুলোর জন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। কাছের মানুষদের ভালোবাসা ও সম্মানের জন্য ধন্যবাদ জানান। একটি সদ্ব্যবহার, ছোট সাহায্য বা শান্ত এক মুহূর্ত—সব কিছুর জন্যই কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত।
২. প্রতিদিন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন:
একটি সরল ও পরিশীলিত জীবনের অন্যতম সেরা মন্ত্র হলো প্রতিদিন কৃতজ্ঞ থাকা। যা কিছু আপনার জীবনে আছে, সেগুলোর জন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। কাছের মানুষদের ভালোবাসা ও সম্মানের জন্য ধন্যবাদ জানান। একটি সদ্ব্যবহার, ছোট সাহায্য বা শান্ত এক মুহূর্ত—সব কিছুর জন্যই কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত।
৩. শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকুন:
নিয়মিত শরীরচর্চা শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, মানসিক শান্তির জন্যও জরুরি। ব্যায়ামের ফলে ‘এন্ডরফিন’ নামক সুখহরমোন নিঃসৃত হয়, যা মন ভালো রাখে। এছাড়া শরীরচর্চা ঘুম ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়, যা সামগ্রিক সুখবোধে সহায়ক।
৪. দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলুন:
পরিবার, বন্ধু বা প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটালে মনে জন্ম নেয় ভালোলাগা ও সহানুভূতির অনুভূতি। প্রয়োজনে এরা হয়ে ওঠে নির্ভরতার জায়গা। মানসিক সুস্থতার জন্য এই সম্পর্কগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া এবং সময় দেওয়া জরুরি।
৫. ধ্যান অনুশীলন করুন:
দৈনন্দিন ব্যস্ততার মাঝেও মাত্র ৫ মিনিট সময় নিয়ে ধ্যান করা মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়। এটি দুশ্চিন্তা কমায়, ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ হ্রাস করে এবং বর্তমানের প্রতি মনোযোগী করে তোলে। ধ্যান মনকে নির্মল করে এবং জীবনের সৌন্দর্য অনুভব করতে সাহায্য করে।
৬. অন্যের পাশে দাঁড়ান, সাহায্য করুন:
ছোট ছোট সাহায্য বা স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম শুধু প্রাপক নয়, দাতাকেও আনন্দ দেয়। সহানুভূতি, ভালোবাসা এবং মানবিকতা তৈরিতে এই অভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিজেকে আরও আনন্দিত ও অর্থবোধকভাবে অনুভব করাতে সহায়তা করে এই অভ্যাস।
৭. ঘুমের গুরুত্ব দিন:
শরীর ও মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে শান্তিপূর্ণ ঘুম অপরিহার্য। এটি আবেগ নিয়ন্ত্রণ, চিন্তাশক্তি ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমালে শরীর ও মন নতুন করে চাঙা হয় এবং দৈনন্দিন জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সহজ হয়।
৮. প্রতিদিন নিজেকে ইতিবাচক কথা বলুন:
নিজের সঙ্গে কথা বলুন—সবসময় ইতিবাচক কথা বলুন। “আমি পারি”, “আমি গুরুত্বপূর্ণ”—এমন কথা মনোবল বাড়ায়, আত্মবিশ্বাস জাগায় এবং নেতিবাচক চিন্তা দূর করে। প্রতিদিনের এই অভ্যাস আপনার আত্মসচেতনতা ও মানসিক শক্তির ভিতকে আরও দৃঢ় করে।
এই ছোট ছোট অভ্যাসগুলোকে প্রতিদিনের জীবনের অংশ করে তুললে জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে—শুধু সুখ নয়, জীবনের গভীরতা ও অর্থবোধও বাড়বে বহুগুণে।