গত কয়েকদিন এই গুনি শিল্পীর রাজনীতি নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে দেশজুড়ে। কেউ কেউ বলছেন তিনি রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছেন আবার কেউ বলছেন না তিনি রাজনীতিতে বেশ মননিবেশ করেছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনির খান দল থেকে পদত্যাগ করেছেন—সামাজিক মাধ্যমে এমন গুঞ্জন ছড়ালেও তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন তিনি।
জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনির খান গত কয়েক দশক ধরে সংগীতচর্চা করে যাচ্ছেন। অ্যালবামের পাশাপাশি চলচ্চিত্রে গান গেয়েও শ্রোতাদের মন জয় করেছেন তিনি।
সংগীতে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মাননা।
এখনও শ্রোতাদের নতুন নতুন গান উপহার দিয়ে যাচ্ছেন এই শিল্পী।
বহু আগে থেকেই এই শিল্পী তার গানের পাশাপাশি রাজনীতি নিয়ে বেশ সরব। তার পরও তার ভক্তকুলের জন্য তিনি রাজনৈতিক বিষয় স্পষ্ট করতে এবার মিডিয়ার সামনে চলে এসেছেন।
রোববার (১৩ জুলাই) এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আমি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করিনি। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ২০১৮ সালের পুরনো একটি ঘটনাকে সামনে এনে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
মনির খানের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিকভাবে তাকে হেয় করতে এই গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তিনি জানান, বিএনপিতে মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি যা অনেকেরই সহ্য হচ্ছে না।
এ কারণেই তাকে ঘিরে বারবার ভুল তথ্য ছড়ানো হয়।
তিনি দলের নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সংগীত জগতে সক্রিয় মনির খান।
উপহার দিয়েছেন ৪২টিরও বেশি একক অ্যালবাম। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ পেয়েছেন বহু স্বীকৃতি। গানে যেমন সরব, রাজনীতিতেও তেমন সক্রিয় থাকতে চান বলে জানালেন এই শিল্পী।
১৯৯৬ সালে একক অ্যালবাম ‘তোমার কোন দোষ নেই’ দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন মনির খান। এরপর ৪২টিরও বেশি একক অ্যালবাম বেরিয়েছে এই শিল্পীর।
তার দ্বৈত ও মিশ্র অ্যালবামের সংখ্যাও অনেক। ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘লাল দরিয়া’ ও ‘দুই নয়নের আলো’সহ অনেক সিনেমায় গান করেছেন মনির খান। এসব গান এখনও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে।