শিরোনাম
◈ ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্কের চাপ সামলাবে কে: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বাণিজ্যনীতিতে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা ◈ ডলারের বিশ্বায়ন: যেভাবে একটি মুদ্রা বিশ্ব অর্থনীতিকে শাসন করছে ◈ ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতি: চার্টার্ড ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আসছেন আরও ৩০ বাংলাদেশি ◈ যশোরের মনিরামপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে যুবদলের চার কর্মী গ্রেফতার ◈ মিয়ানমারের রাজনীতিতে নতুন মোড়, জান্তার ক্ষমতা হস্তান্তর! ◈ ইসরায়েলি নাগরিক সাফাদির সাথে সাক্ষাৎ: স্বীকার করে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন নুর (ভিডিও) ◈ জিম্বাবুয়েকে হা‌রি‌য়ে ত্রিদেশীয় সি‌রি‌জের ফাইনা‌লে বাংলা‌দেশ ◈ মির্জা আব্বাসের প্রশ্ন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির’ (এনসিপি) সরকার? ◈ ফার্মেসির পরামর্শে শিশুর ডায়রিয়ায় অ্যান্টিবায়োটিক, গবেষণায় বিপদের ইঙ্গিত ◈ মার্কিন শুল্ক কমলো, যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ০৫ মে, ২০২৫, ১২:৩৬ দুপুর
আপডেট : ২৩ জুলাই, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কারাবন্দিদের প্রেমের প্রস্তাবে অতিষ্ঠ, সুন্দরী কারারক্ষী হয়ে উঠলেন দুষ্টু ভিডিওর তারকা

কারারক্ষীর সৌন্দর্যে মজেছিলেন কয়েদিরাও! তাঁদের অনেকে জেল থেকে মুক্ত হওয়ার পর প্রেমের প্রস্তাব দিতেন সুন্দরী কারারক্ষীকে। অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টের সংশোধনাগারের আধিকারিক ছিলেন ৩২ বছর বয়সি অ্যালিসিয়া ডেভিস। কুইন্সল্যান্ডের একটি কারাগারের সুউচ্চ দেওয়ালের আড়ালে অপরাধী ও অভিযুক্তদের মাঝে সময় কাটিয়ে হাঁপিয়ে উঠেছিলেন অ্যালিসিয়া। তাঁর সৌন্দর্যের খ্যাতি এতটাই ছড়িয়ে পড়ে যে, বন্দিদের স্ত্রী এবং বান্ধবীরা প্রায়ই সাক্ষাতের সময় তাঁর দিকে বরফশীতল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতেন। সেই দৃষ্টির সামনে পড়লে তরুণীর মনে হত তাঁকে যেন তাঁরা খুন করতে চাইছেন। তাঁদের এই দৃষ্টি সহ্য করতে পারতেন না তরুণী। কারা আধিকারিক হিসাবে কর্তব্য পালন করতে করতে তাই হঠাৎই পেশা পরিবর্তন করে দুষ্টু ভিডিয়োর মডেল হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তরুণী।

২০২২ সালের গোড়ার দিকে সংশোধনাগারে এক জন অফিসার হিসাবে কর্মরত ছিলেন অ্যালিসিয়া। সংবাদমাধ্যম ‘ডেলি মেল’-এর ​​সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, প্রাক্তন পেশা শারীরিক ভাবে কষ্টকর হওয়ার পাশাপাশি মানসিক ভাবেও ক্লান্তিকর ছিল। কঠোর নীতি প্রয়োগ করেও বন্দিদের মনোযোগ এড়াতে পারেননি। কারা দফতরের নিয়ম অনুযায়ী ভাল পোশাক, গয়না বা প্রসাধনীও ব্যবহার করতে পারতেন না তিনি। তা সত্ত্বেও ক্রমাগত বন্দিদের প্রেমের প্রস্তাব, নানা ধরনের উপহার প্রত্যাখ্যান করতে করতে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়তেন বলে জানান অ্যালিসিয়া।

কারাগারের চার দেওয়ালের বাইরেও তাঁর আকর্ষণ অটুট ছিল। অ্যালিসিয়া জানান, বন্দিরা এক বার মুক্তি পেলে তাঁকে ইনস্টাগ্রামে অনুসরণ করতেন এবং বন্ধুত্ব পাতানোর চেষ্টা করতেন। প্রেমের ছলনা এবং কঠোর নিয়মকানুন মেনে এবং পেশাদারিত্বের ভারসাম্য বজায় রেখে কাজ করা সম্ভব হচ্ছিল না। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে কারাগারের চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে নতুন পেশায় পা রাখেন তিনি। দুষ্টু ভিডিয়োর ওয়েবসাইটে মডেল হিসাবে কাজ করা শুরু করেন। ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুসরণকারীর সংখ্যা ১ লক্ষ ২০ হাজার। সংশোধনাগারে কাজ করার সময় অ্যালিসিয়া বছরে প্রায় ৫২ লক্ষ টাকা আয় করতেন। আজ তাঁর আয় প্রায় সওয়া ৩ কোটি টাকায় পৌঁছেছে বলে জানা গিয়েছে। অ্যালিসিয়ার দাবি, ‘‘এখন আমি যা চাই তাই পরি, যার সঙ্গে ইচ্ছা কথা বলতে পারি এবং ভয় ছাড়াই স্বাধীন ভাবে জীবনযাপন করতে পারছি।’’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়