শিরোনাম
◈ ৬ সেপ্টেম্বর সব নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ◈ নাটোরে গাঁজা জব্দে গরমিল: ২৮ কেজি উদ্ধারের পর থানায় জমা মাত্র ৭ কেজি! উদ্ধারকারী এসআই ক্লোজড্ ◈ হা‌সিনা পা‌লি‌য়ে যাবার পর আ‌ন্দোল‌নের কৃ‌তিত্ব নি‌য়ে লড়াই চল‌ছে:  আমীর খসরু ◈ পাসপোর্ট ছাড়া ভারতে প্রবেশ করা বাংলাদেশিদের জন্য নতুন নিয়ম চালু ◈ ডাকসু নির্বাচন : যাকে ভোট দিতে বলছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস কক্সবাজারে ◈ লটারিতে নয়, প্রক্রিয়াতেই ডিসি নিয়োগ হবে: জনপ্রশাসন সচিব ◈ ২ হাজার এএসআই নেবে পুলিশ, এইচএসসি পাশেই আবেদন ◈ সাবেক আইজিপি মামুনের জবানবন্দি হাসিনার দুঃশাসনের অকাট্য দলিল: চিফ প্রসিকিউটর ◈ জোটবদ্ধ প্রার্থীকেও নিজের দলের প্রতীকে ভোট করতে হবে : ইসি

প্রকাশিত : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১১:৫৪ দুপুর
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যোগ্যতা নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধের কারণ ‘লিঙ্গ পরিচয়’! 

আশফিয়া মেহরিন : দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সুবিধার আওতায় ট্রান্সজেন্ডারদের ভর্তির সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছিল। তবে শিক্ষার্থীদের একটি অংশের আন্দোলন এবং পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দুই বছরের মধ্যে পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়েছে এই কোটা। সবশেষ গত মে মাসে কলা অনুষদের কোটার ভর্তির বিজ্ঞপ্তিতে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দ নিয়ে একটি পক্ষের প্রতিবাদের মুখে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায় ভুল করে সেটি ব্যবহার করা হয়েছে। এমন অবস্থায় নিজস্ব লিঙ্গপরিচয়ে ট্রান্স জনগোষ্ঠীর উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পথ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।   

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো যুক্ত হয় ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া কোটা। কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগের চেয়ারপারসন তাওহিদা জাহান ২০২২ সালের ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় এ কোটা যুক্ত করার প্রস্তাব তোলেন। পরে উপাচার্যের সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তখনকার উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান সে সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণের জন্য এবং সুবিধাবঞ্চিত সব মানুষকে সুযোগ করে দেয়া জরুরি। তাই আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তবে শুরু থেকেই এর বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকায় দেখা যায় শিক্ষার্থীদের একটি অংশকে। ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দ বাদ দিয়ে শুধু ‘হিজড়া কোটা’ রাখার দাবিও তোলা হয়। এমন অবস্থায় বিভ্রান্তি দূর করতে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বিবৃতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়, ‘বিভ্রান্তি নিরসনের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সুস্পষ্টভাবে জানাচ্ছে যে, ২০২২-২০২৩ সেশন থেকে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির ক্ষেত্রে ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া কোটা প্রচলন করা হয়।

কেবলমাত্র জন্মগতভাবে লিঙ্গ বৈচিত্র্যের অধিকারী শিক্ষার্থীরা ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া কোটায় ভর্তির আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে কোটা শনাক্তকরণে সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রদত্ত হিজড়া (গেজেট নং সকম/কর্ম- ১শা হিজড়া-১৫-২০১৩-৪০) পরিচয়পত্র অবশ্যই দাখিল করতে হবে।’ 

এরপর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা কমে এলেও ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর আবার বিষয়টি সামনে আসে। কার্যত তখন থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রান্স শিক্ষার্থীদের নিজস্ব লৈঙ্গিক পরিচয়ে ভর্তির সুযোগ বিলুপ্ত হয়ে যায়। সবশেষ গত মে মাসে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে কোটায় ভর্তির বিজ্ঞপ্তিতে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দটি দেখা গেলে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ প্রতিবাদ শুরু করেন। এরপর কর্তৃপক্ষ জানায়, ভুল করে বিজ্ঞপ্তিতে শব্দটি রয়ে গেছে, এটি বাতিল করা হবে। 

এমন অবস্থায় তীব্র হতাশায় পড়েছেন ট্রান্স শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে নিরাপত্তাহীনতা, অসহযোগিতার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেক ঝরে পড়ার ঘটনাও ঘটছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ লিঙ্গ পরিচয়ে ভর্তি হওয়া প্রথম ট্রান্স শিক্ষার্থী অঙ্কিতা ইসলাম। ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ব্যবস্থাপনা বিভাগে এক্সিকিউটিভ এমবিএতে ভর্তি হন এই ট্রান্স নারী। এর পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হয় ‘ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া’ কোটা। অঙ্কিতা জানান, এমবিএ সফলভাবেই তিনি শেষ করেছেন। ছোটখাট কিছু বিব্রতকর পরিস্থিতি বাদ দিলে পুরো সময়ে শিক্ষকদের পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছেন। তবে দেশের বর্তমান নাজুক নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে এই পরিচয়ে প্রকাশ্যে চলাফেরা করা তার জন্য অনিরাপদ। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রান্সজেন্ডার কোটা বিলুপ্ত হওয়ায় উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে এই সম্প্রদায় আবার পিছিয়ে গেল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন তো মানুষের স্বাভাবিক জীবনেরই নিরাপত্তা নেই। সেখানে আমাদের নিয়ে কথা বলার সুযোগ তো নেই-ই। আমরা তো লিখিত-অলিখিতভাবে তৃতীয় ক্যাটাগরির। এটা তো বৈষম্যমূলক শব্দ হিসেবেই উচ্চারিত হয়। দেশের এ অবস্থায় আমরা আমাদের অধিকার নিয়ে কথা বলা ওইভাবে আসলে হচ্ছে না। আর মূলধারায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ আমাদের সামনে কতটুকু আসবে- তা নিয়ে আমি সন্দিহান।’  

প্রথম ট্রান্স নারী হিসেবে ঢাবিতে এমফিল করার সুযোগ পেয়েছিলেন সঞ্জীবনী সুধা। তিনি জানান, কোর্স শুরু হওয়ার পর এক বছর ধরে বেশ কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। নিরাপত্তা বিবেচনায় সেসব প্রকাশ করতে না চাইলেও তিনি বলেন, লিঙ্গ পরিচয়ই এই অভিজ্ঞতার কারণ। গত বছরের আগস্টে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রশাসনিক জটিলতার কারণ দেখিয়ে তত্ত্বাবধায়ক তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এসব কারণে এমফিল আর শেষ করা হয়নি।

সঞ্জীবনী বলেন, ‘এমনিতেই ট্রান্স কমিউনিটির জন্য উচ্চশিক্ষার পথ অমসৃণ। তার ওপর ট্রান্স কোটার নাম বদলে হিজড়া কোটা করায় সেটি অনেকের জন্য স্বপ্নই রয়ে যাবে।’ 

তিনি বলেন, ‘কোটার নাম পরিবর্তনকে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি জ্ঞানগত ধারণার অভাব বলে মনে করি। কর্তৃপক্ষেরও জেন্ডার সম্পর্কে ধারণা নেই বলে মনে করি। এই কোটায় কিছু মানুষ সুবিধা পাবে, কিছু মানুষে পাবে না। তার মানে এরকম যে, ট্রান্সজেন্ডার বলে আমি আলাদা হয়ে গেলাম। হিজড়া বলে কেউ সিম্প্যাথির জায়গা থেকে সুবিধা পাবে, আর ট্রান্স বলে একজন স্বীকৃতির বাইরে রয়ে গেল।’ ট্রান্স কমিউনিটিকে মূলধারায় আনা, এমনকি হিজড়া গোষ্ঠীর জীবনমানও উন্নত করার জন্য শব্দ দুটি নিয়ে আরও আলোচনা হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। 

হতাশা জানিয়ে সঞ্জীবনী বলেন, ‘বিশ্বের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি কোর্স করেছি। নিজ দেশকে অন্য দেশে গিয়ে প্রমোট করেছি। অথচ নিজ দেশেই আমি উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেলাম না।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডারগ্র্যাড কোর্সের শেষ বর্ষের এক ট্রান্স শিক্ষার্থীও তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানান। তিনি যখন ভর্তি হওয়ার সময় ট্রান্সজেন্ডার বা হিজড়া কোটা ছিল না। নিজ লিঙ্গ পরিচয় গোপন করে চার বছরের শিক্ষাজীবন কাটানো এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘পোশাকের দিকটি আমাকে কম্প্রোমাইজ করতে হয়েছে অনেক বেশি। আমি লেসবিয়ান নাকি- এ রকম কথা শুনতে হয়েছে।’

ট্রান্স কোটা নিয়ে তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই এই কোটা আমাদের জন্য প্রবলেম্যাটিক ছিল। এটিকে লিঙ্গ প্রতিবন্ধী হিসেবে ক্যাটাগরিতে দেয়া হয়েছিল। এখন আবার হিজড়া করে দেয়ায় অনেকের জন্য ইনএকসেসিবল হয়ে গেছে। হিজড়া কালচারের সঙ্গে যাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই- এই মানুষগুলো তো কোটা পাবে না। আবার হিজড়া হিসেবে ভর্তি হতে গেলেও মেডিক্যাল টেস্টের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এই টেস্ট খুবই অমর্যাদাকর। জামাকাপড় খুলে চেক করা হয়।’
বিশেষজ্ঞরা জানান, দেশের ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায় মৌলিক নাগরিক অধিকার থেকে বরাবরই পিছিয়ে। ভিন্ন লৈঙ্গিক আচরণের কারণে বেড়ে উঠতে গিয়ে পরিবারে ও সমাজে তারা প্রান্তিক হয়ে পড়েন। স্কুল, কলেজে হেয়-প্রতিপন্ন হতে হয়।

অনেকের আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গণ্ডিও পার হতে পারেন না। লেখাপড়া ছেড়ে বেশিরভাগই যোগ দেন হিজড়া গোষ্ঠীতে। এর বাইরে নিজস্ব লড়াইয়ের মাধ্যমে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারা ট্রান্স মানুষের সংখ্যা নগণ্য। ট্রান্স কমিউনিটি নিয়ে কাজ করা অধিকারকর্মীরা বলছেন, হিজড়া সংস্কৃতির অংশ নন, এমন ট্রান্সজেন্ডারদের হিজড়া পরিচয় ধারণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া কঠিন, ফলে হিজরা কোটা শেষপর্যন্ত তাদের কোনো কাজে আসবে না। 
অধিকারকর্মীদের মতে, ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে বিতর্কের মূলে রয়েছে হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার শব্দ দুটির অর্থ নিয়ে জনমনে ভুল ধারণা ও বিশেষ একটি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এই ভুল ধারণা জিইয়ে রাখা। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ট্রান্স অধিকারকর্মী বলেন, ‘মানুষের বোঝার ভুল আছে। সব হিজড়া ট্রান্সজেন্ডার হতে পারেন, কিন্তু সকল ট্রান্স তো হিজড়া নন। হিজড়া একটা কালচার, একটা ট্রাডিশন, ওদের আলাদা একটা ভাষা আছে... কিন্তু এ দেশে বোঝানো হয় হিজড়ারা জন্মগতভাবেই ভিন্ন লিঙ্গ নিয়ে আসে, এটা তো ঠিক নয়।

‘ধর্মের দোহাই দিয়ে ট্রান্সজেন্ডার শব্দ বা কোটার বিরুদ্ধে একটি গোষ্ঠী দাঁড়াচ্ছে। তারা বলছে হিজড়াদের অধিকার নিয়ে কাজ করা যাবে কারণ তারা জন্মগতভাবে এ রকম। কিন্তু ট্রান্স সবাই তো নিজেকে হিজড়া বলে পরিচয় দেন না। ট্রান্স তো জেন্ডার আইডেন্টিটি, কালচার নয়। তাহলে ট্রান্সজেন্ডাররা কেন হিজড়া কোটায় পড়তে চাইবেন।’ কোটা থেকে ট্রান্সজেন্ডার শব্দটি বাদ দেয়ার কারণে ট্রান্স শিক্ষার্থীরা নিজেদের পরিচয় লুকিয়ে পড়াশোনা করতে বাধ্য হবেন, অথবা পড়ালেখা ছেড়ে দেবেন বলে মনে করেন তিনি। 

আন্তর্জাতিক একটি মানবাধিকার সংস্থার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘মার্জিনালাইজড কমিউনিটি হিসেবে ট্রান্সজেন্ডারদের রাষ্ট্রীয় প্রণোদনা বা কোটা অবশ্যই দরকার। কারণ তারা বেড়ে ওঠার শুরু থেকে ঘর থেকেই বৈষম্যের শিকার হন, স্কুলে গেলে বুলিংয়ের শিকার হন। এসব কারণে লেখাপড়ার ভালো সুযোগ পান না। এমপ্লয়মেন্টের সুযোগ পান না। তারা বাধ্য হয়ে হিজড়া কমিউনিটিতে জড়িয়ে পরেন। আবার ছোটকালে বাসা থেকেই অনেককে হিজড়া গোষ্ঠীতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘ট্রান্স শিক্ষার্থীরা হিজড়া কোটায় ভর্তি হবেন না, কারণ তারা এই কালচার বিলং করেন না। আবার হিজড়াদের অনেকে স্কুল-কলেজেই যান না। কিছু হিজড়া গ্রুপের গুরু মা আছেন, তারা চান না তাদের গ্রুপের কেউ লেখাপড়া করুক বা ইনকাম জেনারেট করার পর্যায়ে যাক। কারণ এতে তাদের গ্রুপের উপার্জন বাধাগ্রস্ত হবে। এসব কারণেও হিজড়ারা সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যান না।’ 

ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহযোগিতায় প্রান্তিক নারীদের সুরক্ষায় কাজ করছে ক্রিশ্চিয়ান এইড, আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট এবং মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। তাদের প্রকল্প এলাকার আওতায় আছে রংপুর, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা ও ঢাকা জেলা। এসব জায়গায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাতে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, যার মধ্যে ট্রান্সজেন্ডার কমিউনিটিকেও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

অধিকারকর্মীরা বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেশের সব জনগোষ্ঠীর প্রবেশের সুযোগ রাখা প্রয়োজন। তবে টান্সজেন্ডারদের কোটা বাতিল সেক্ষেত্রে একটি বড় প্রশ্ন তৈরি করেছে। এ অবস্থা দূর করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে সচেতনতা বাড়ানোর ওপরেও জোর দিচ্ছেন তারা। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়