মানবদেহের অপরিহার্য একটি অঙ্গ হচ্ছে কান। কেবল শ্রবণশক্তির জন্যই নয়, ভারসাম্যের জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ। কানের স্বাস্থ্য দুর্বল হলে শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনে অস্বস্তিও দেখা দেয়।
শ্রবণশক্তির সমস্যা থাকলে আমাদের জীবনযাত্রার মান প্রভাবিত হয়।
তাই কানের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য আমাদের একটি সঠিক জীবনধারা গ্রহণ করা উচিত। বিশেষ করে খাদ্যাভ্যাস শ্রবণশক্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণার তথ্য মতে, ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেলে কানের সূক্ষ্ম গঠন রক্ষা করা যায়। ফলস্বরূপ, বয়সজনিত শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়া সম্ভব।
চলুন, তাহলে কানের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় খাবারগুলো দেখে নেওয়া যাক—
সবুজ শাক-সবজি: পালং শাক ও ব্রোকলির মতো সবুজ শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফোলেট (ভিটামিন বি৯) থাকে। এটি স্নায়ু কোষের কার্যকারিতা উন্নত করে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শ্রবণশক্তি হ্রাস রোধে ফোলেট কিছুটা কার্যকর। সপ্তাহে কয়েকবার সবুজ শাক-সবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন।
বীজ ও বাদাম: আখরোট ও তিসির বীজ ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ, সেইসঙ্গে জিঙ্কও। উভয়ই কানের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওমেগা-৩ কানের ভেতরে প্রদাহ কমায়। এ ছাড়া টিনিটাসের লক্ষণগুলো কমায়। জিঙ্ক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং কানের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
সাইট্রাস ফল: কমলা, লেবুজাতীয় সাইট্রাস ফলের ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি কানে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। কানের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো রক্তপ্রবাহ অপরিহার্য। বিশেষ করে লেবুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা বয়সজনিত সমস্যা থেকে কানকে রক্ষা করে।
শস্যদানা: ওটস ও বাদামি চালে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম থাকে। ম্যাগনেসিয়াম অতিরিক্ত শব্দের কারণে শ্রবণশক্তি হ্রাস থেকে রক্ষা করে। পটাশিয়াম কানের কক্লিয়া-তে তরল ভারসাম্য বজায় রাখে। এই তরল নিশ্চিত করে যে শব্দ মস্তিষ্কে সঠিকভাবে পৌঁছায়। এই দুটির ঘাটতি থাকলে শ্রবণ সমস্যা বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় নিয়মিত শস্যদানা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। সূত্র : নিউজ ১৮