শিরোনাম
◈ ইতিহাস গড়লেন লিটন দাস ◈ এক দিনে ৪৪ মিলিয়ন ডলার বেড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ◈ ভারতীয় উদ্যোক্তারা শুল্ক আরোপকে বলছনে ‘বাণজ্যিকি নষিধোজ্ঞা’, রপ্তানি ৭০% হ্রাসের শঙ্কা ◈ ক্ষমতার লোভে একের পর এক ভুয়া ভোট করেছিল আওয়ামী লীগ: ড. মঈন খান ◈ দুই মাসে পোশাক রপ্তানির আয় ৭১৩ কোটি ডলার ◈ নেপালে যাচ্ছে বাংলাদেশ, জাতীয় দল ঘোষণা,  নেই হামজা ◈ মুসলিম তরুণীকে আটক রেখে ধর্ষণ, ২০ দিন পর অভিযুক্ত জয়কুড়ি গ্রেপ্তার ◈ পল্টন মোড়ে গণঅধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের অবরোধ ◈ নির্বাচন বানচালের জন্য ভিপি নুরকে আহত করা হয়েছে: জয়নল আবেদিন ফারুক ◈ অবাধে ভারত থেকে ঢুকছে পানি: পাকিস্তানে বন্যায় নিহত ৪৩, পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা

প্রকাশিত : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৫:২৮ বিকাল
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৭:৪৫ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডাকসু নির্বাচন : যাকে ভোট দিতে বলছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

ইসলাম একটি সর্বকালীন পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ব্যক্তি জীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন, আন্তর্জাতিক জীবন, অর্থব্যবস্থা, সমরব্যবস্থা, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র ব্যবস্থা, প্রতিরক্ষা নীতি, আইনকানুনের যাবতীয় শাখা-প্রশাখাসহ মানবজীবনের যাবতীয় সমস্যার বিস্তারিত দিকনির্দেশনা রয়েছে ইসলামে।

ইসলাম মানুষকে যেমনিভাবে আখিরাতের সব বিষয়ের দিকনির্দেশনা দিয়েছে, তেমনিভাবে দুনিয়ার সব বিষয়েও দিয়েছে ভারসাম্যপূর্ণ নীতিমালা। তাই ইসলামের দৃষ্টিতে ভোটের গুরুত্ব অপরিসীম।

দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাস, ঘুষখোর, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠনকারী, মিথ্যাবাদী, ধর্মের প্রতি উদাসীন, খোদাদ্রোহী ব্যক্তিদের প্রার্থী হওয়া বা ক্ষমতায় বসার কোনো সুযোগ ইসলামে নেই। নির্বাচনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য ইসলাম সর্বদা ব্যক্তির সততা, যোগ্যতা, খোদাভীতি, ইমান-আমল, জ্ঞান ও চারিত্রিক গুণাবলিকে প্রাধান্য দিয়েছে।

তাই ইসলামের দৃষ্টিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হওয়া যেমন জরুরি, প্রার্থী বা নির্বাচিত ব্যক্তিও তেমন সৎ-যোগ্য, জ্ঞানী-গুণী, চরিত্রবান, খোদাভীরু, আমানতদার, ন্যায়পরায়ণ, দেশপ্রেমিক, মানবদরদি ও দায়িত্বানুভূতিসম্পন্ন হওয়া তারচেয়েও বেশি প্রয়োজন।

এই প্রেক্ষাপটে আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনার পাশাপাশি নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। অনেকেই জানতে চাচ্ছেন, ডাকসু নির্বাচনে কাকে ভোট দেওয়া উচিত।

এ প্রসঙ্গে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পরামর্শ দিয়েছেন প্রখ্যাত ইসলামি স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ।

তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, কাকে ভোট দিলে আপনার শিক্ষাঙ্গনের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ আপনি পাবেন। কাকে ভোট দিলে আমাদের বোনেরা হিজাব পরে পর্দার মাধ্যমে তাদের দ্বীন পালনের যে স্বাধীনতা রয়েছে, অধিকার রয়েছে সেটা তারা পরিপূর্ণভাবে পালন করতে পারবেন। কাকে ভোট দিলে আপনার শিক্ষাঙ্গন রক্তাক্ত, খুনাখুনি এবং বাজে যে পরিবেশ আছে সেটা থেকে মুক্তি লাভ করতে পারে— সে বিষয়গুলোকে বিবেচনা করে আপনি ভোট দেবেন।’

ভোটের দায় সম্পর্কে আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘দলীয় বিবেচনা কিংবা ক্ষুদ্র কোনো ইস্যুভিত্তিক বিষয়কে সামনে রেখে বা আপনার ব্যক্তি স্বার্থকে সামনে রেখে ভোট দেওয়া, এটা ভোটের প্রতি খেয়ানত। ভোটের আমানতদারিতা, ভোটের যে দায় রয়েছে সেটা আদায় হবে তখনই, যখন আপনি সার্বিক স্বার্থ বিবেচনায় রাখবেন।’

ইসলামি এই স্কলার অভিযোগ করে বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবত দেশের এই সর্বোচ্চ বিদ্যাপিটে আমাদের বোনেরা স্বাধীনভাবে তাদের দ্বীন পালন করে শিক্ষাঙ্গনে চলাফেরা করা বা শিক্ষা গ্রহণ করা থেকে নানাভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং কোণঠাসা থাকছেন। এমনকি ছেলেরা ধর্ম পালন করতে গেলে তাদেরকেও নানা ট্যাগ দিয়ে কোণঠাসা করে রাখার একটা প্রচেষ্টা চলমান আছে। এ বিষয়গুলো প্রত্যেকটা প্রার্থীকে দিয়ে বলাবার চেষ্টা করবেন, শিক্ষাঙ্গনে এসব কিছুর অবসান যেন ঘটে।’

সবশেষে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সামনে উল্লিখিত বিষয়গুলো উত্থাপন করতে হবে এবং তাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি আদায় করতে হবে। যিনি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন বলে তুলনামূলকভাবে বেশি মনে হবে, আল্লাহর ওপর ভরসা করে তাকেই ভোট দেবেন।’

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়