অনুপ্রবেশ ও অবৈধভাবে ভিনদেশি নাগরিকদের নিয়ে বড় পদক্ষেপ ভারতের। প্রতিটি রাজ্যকে তৈরি করতে বলা হয়েছে ডিটেনশন ক্যাম্প। অবৈধভাবে যারা এই দেশে বসবাস করছেন, তাদের ধরে ধরে এই ক্যাম্পে পাঠানো হবে। কারা ছাড় পাবেন এই নিয়ম থেকে? তবে সে কথাও জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নিপীড়ন এড়াতে ভারতে যাওয়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা পাসপোর্ট বা অন্য কোনো ভ্রমণ নথি ছাড়াই সেখানে থাকতে পারবেন। শুধু বাংলাদেশ নয়, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে প্রবেশ করা ব্যক্তিরাও এই সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রেও সময়সীমা আছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ কার্যকর করার সময় কেন্দ্রের ঘোষণা ছিল, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা ভারতে এসেছেন, তাদেরই একমাত্র ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কেন্দ্রের নতুন নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু নাগরিকরা ভারতে এলে, তাদের পাসপোর্ট বা ভ্রমণের ডকুমেন্ট ছাড়াই ভারতে থাকতে দেওয়া হবে।
চলতি সপ্তাহের সোমবার থেকেই কার্যকর হয়েছে সম্প্রতি সংসদে পাশ হওয়া ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স অ্যাক্ট, ২০২৫। এরপরই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রের এই নির্দেশে তিন দেশ থেকে আসা সংখ্য়ালঘুরা অনেকটাই স্বস্তি পেলেন। বিশেষ করে ২০১৪ সালের পর পাকিস্তান থেকে যে হিন্দুরা চলে এসেছিলেন ভারতে, তারা নিজেদের ভবিতব্য নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। এবার তারা বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের পাসপোর্ট ছাড়া ভারতে থাকতে পারবেন। তবে এই আইন নাগরিকত্বের গ্যারান্টি দিচ্ছে না। বাংলাদেশ, পাকিস্তান বা আফগানিস্তান থেকে আগত কোনও ব্যক্তি নাগরিকত্ব আইনের ধারা ৬বি (6B -CAA) এর মাধ্যমে আবেদন করে ভারতের নাগরিক হতে পারবেন।
কেন্দ্রের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান, পার্সিরা, যারা ধর্মীয় নিপীড়িত হয়ে বা নিপীড়ন থেকে বাঁচতে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে এসেছেন বৈধ নথি ছাড়া বা নথির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, তাদের ভারতে থাকতে দেওয়া হবে।
নেপাল ও ভুটানের নাগরিকরাও যারা স্থল বা আকাশপথে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাদেরও পাসপোর্ট বা ভিসা দেখাতে হবে না। একইভাবে ভারতের নাগরিকরা যদি নেপাল বা ভুটান থেকে ভারতে আসেন, তাহলে তাদের কোনও পাসপোর্ট বা অন্য নথি দেখাতে হবে না। কিন্তু চিন, পাকিস্তান, হংকং বা ম্যাকাও দিয়ে ভারতে এলে তাদের নথি দেখাতেই হবে।
নতুন আইনে আরও বলা হয়েছে, ভারতীয় সেনা, বায়ুসেনা বা নৌসেনার সদস্যরা যারা ভারতে প্রবেশ করছেন বা দেশ ছাড়ছেন কিংবা সরকারি গাড়িতে এমন আধিকারিকের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা সফর করবেন, তাদের পাসপোর্ট বা ভিসা দেখানোর প্রয়োজন পড়বে না। সুত্র: নাইন টিভি বাংলা