পলাতক ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও টিউলিপ সিদ্দিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার বিচার শুরু হয়েছে ঢাকার একটি আদালতে।
আজ বুধবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে আদালত কক্ষে জবানবন্দি দিতে শুরু করেন মামলার অভিযোগকারী ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালতে এই বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পের অধীনে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে গত ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে ঢাকা সমন্বিত জেলা অফিস-১-এ ছয়টি পৃথক দুর্নীতির মামলা করেছে দুদক।
দুদকের অভিযোগ, হাসিনা রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের কূটনৈতিক অঞ্চলে অবৈধভাবে ১০ কাঠা আকারের ছয়টি প্লট নিয়েছেন তার ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে। যদিও হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, রেহানা, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক বিদ্যমান আইন অনুযায়ী এই প্লট পাওয়ার যোগ্য নয়।
দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টিউলিপ সিদ্দিক তার বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে রেহানা, ববি ও আজমিনার জন্য প্লট পেয়েছেন।
গত ২৫ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে ছয়টি অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। যেখানে ছয়টি মামলার সবকটিতেই হাসিনাকে আসামি করা হয়েছে।
কমিশন আসামিদের সবাইকে পলাতক হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে।
১০, ১৩ ও ১৫ এপ্রিল একই আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে হাসিনা, রেহানা, জয়, পুতুল, টিউলিপ, আজমিনা ও ববিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
১ জুলাই আদালত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ২৯ জনকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করে ছয়টি গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করার নির্দেশ দেন।
৩১ জুলাই হাসিনা, রেহানা, জয়, পুতুল, ববি, টিউলিপ ও আজমিনাসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে তাদের নিজ নিজ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।