নোয়াখালী হাতিয়ায় বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের ধাওয়ায় ডুবে যাওয়া ট্রলারের অংশবিশেষ ধরে ২৪ ঘণ্টা সাগরে ভেসে ছিলেন ১৮ জেলে। পরে অন্য ট্রলারের জেলেদের সহায়তায় বেঁচে ফিরেছেন তাঁরা। আজ সোমবার বিকেলে উপজেলার চরঈশ্বর বাংলাবাজার ঘাটে উদ্ধার হওয়া জেলেদের নিয়ে আসা হয়।
জেলেদের সবাই উপজেলার জাহাজমারা এলাকার আমতলী গ্রামের বাসিন্দা।
জেলেরা জানান, গত শুক্রবার সকালে এমভি আবুল কালাম নামের ট্রলার নিয়ে সাগরে যান তাঁরা। গতকাল রোববার বিকেলে হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে তাঁদের ট্রলারে আক্রমণ করে জলদস্যুরা। জানমাল বাঁচাতে ট্রলার নিয়ে ছুটতে থাকেন জেলেরা। একসময় জলদস্যুরা নৌকা নিয়ে পেছন থেকে দ্রুতগতিতে এসে জেলেদের ট্রলারকে ধাক্কা দেয়। মুহূর্তে ট্রলারটি উল্টে সাগরে ডুবে যায়। এরপর জলদস্যুরা চলে যায়। জেলেরা ডুবে যাওয়া ট্রলারের অংশবিশেষ ধরে ভাসতে থাকেন।
ট্রলারমালিক কালু মাঝি বলেন, জলদস্যুরা ট্রলার ডুবিয়ে দেওয়ার পর সামান্য অংশ ভাসতে থাকে। তাঁরা সেটি ধরে ২৪ ঘণ্টা ভেসে ছিলেন। আজ অন্য উপজেলার দুটি মাছ ধরার ট্রলার তাঁদের পাশ দিয়ে আসার পথে দেখে তাঁদের উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসে। তিনি আরও জানান, এই ট্রলারের মালিক তিনি নিজে। চোখের সামনে নিজের কোটি টাকার সম্পদ সাগরে ফেলে চলে আসতে হয়েছে তাঁকে।
এ বিষয়ে হাতিয়া নৌ পুলিশের ইনচার্জ আশিকুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। নিঝুমদ্বীপ থেকে ঘটনাস্থল অনেক দূরে হওয়ায় আমাদের কিছুই করার ছিল না। এ ছাড়াও আমাদের তেমন কোনো ভারী যানবাহন নেই। এজন্য আমরা চাইলেও গভীর সমুদ্রে গিয়ে কোনো অভিযান করতে পারি না।’