শিরোনাম
◈ রাজনৈতিক ঐকমত্য জরুরি: কমিশনের সর্বশেষ বৈঠক আজ, সনদ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত সরকারের হাতে? ◈ সাবেক দুই সেনা কর্মকর্তার এনসিপি থেকে পদত্যাগের ঘোষণা ◈ নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আলোচনায় আসা কে এই সুশীলা কার্কি? ◈ ভারতের সুপ্রিম কোর্টে সতর্কবার্তা: বাংলাদেশ-নেপালে তরুণদের আন্দোলনে সরকার পতনের প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি ◈ কাতারের পর এবার ইয়েমেনে হামলা চালাল ইসরায়েল ◈ কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীনকে সাময়িক বরখাস্ত ◈ ৯/১১ হামলার ২৪ বছর: নিহতদের স্মরণে যুক্তরাষ্ট্রে শোক ও শ্রদ্ধা ◈ ৩৩ বছর পর ভোট জাকসুতে—ভিপি, জিএস, এজিএসসহ ২৫ পদে লড়ছেন ১৭৭ প্রার্থী ◈ নরসিংদীতে তুচ্ছ ঘটনায় আপন দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা ◈ চিঠি লিখে ভারতকে একহাত নিলেন নেপালের পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৭:৪৫ বিকাল
আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৫ শিক্ষার্থীকে নিয়ে আদমদীঘিতে পুকুরে ধসে পড়ল শ্রেণিকক্ষের মেঝে

এএফএম মমতাজুর রহমান, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ ক্লাস শুরুর আগেই বগুড়ার আদমদীঘিতে পাঁচ শিক্ষার্থীকে নিয়ে পুকুরের পানিতে ধসে পড়ল ক্লাসরুমের মেঝে। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউপির বাগবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির কক্ষে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর ওই কক্ষ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অসতর্কতা আর অবহেলায় এমন ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম ও সজল হোসেন বলেন, ‘চলতি বছরের জানুয়ারির ১৫ তারিখে প্রধান শিক্ষক হিসেবে এই বিদ্যালয়ে যোগ দেন শ্যামনাথ। তিনি বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে খুবই উদাসীন। তিনি স্কুলের শিক্ষক বা স্থানীয়দের সঙ্গে কোনো পরামর্শ না করেই একক সীদ্ধান্তে চলেন। বরাদ্দের টাকা স্কুলের কী কাজে ব্যবহার করেন সেটিও কাউকে বলার প্রয়োজন মনে করেন না।

তার উদাসীনতার কারণে পড়াশোনার পাশাপাশি অবকাঠামোর অবস্থাও বেহাল। আর এ কারণেই সকালে ক্লাস শুরুর আগেই শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী হুমায়রা, জীসান ও অলসসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে নিয়ে পুকুরের পানিতে ধসে পড়ে ক্লাসরুমের মেঝে। এই দুর্ঘটনায় শিশু শিক্ষার্থীদের প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটে যেতে পারত। তাদের দাবি, বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সচেতন হলে এমন ঘটনা ঘটত না।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামনাথ বলেন, ‘অনেক দিন আগে পুকুরের ওপর এই বিদ্যালয়ের কক্ষ নির্মাণ করা হয়। সম্প্রতি উত্তর দিকে গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হলেও তিনি যোগদানের পর থেকে কোনো বরাদ্দ না পাওয়ায় মেঝে সংস্কারের কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে দুই দফায় স্কুলের বরাদ্দ পেয়েছিলেন ৪০ হাজার ৫০০ টাকার মতো। সেটি নিয়ে কারো সঙ্গে আলোচনা না করেই ব্যয় করার জন্য স্থানীয়দের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।’

উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন বলেন, ‘খবর পেয়েই বিদ্যালয়ে ছুটে এসে ওই ক্লাসরুম বন্ধের জন্য নির্দেশ দিয়েছি।

এরপর স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলি। তাদের অভিযোগগুলো নোট করি। বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। এরপর তারাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়