বাংলাদেশে দীর্ঘদিনের সমস্যার অন্যতম একটি হলো ভূমি নামজারি। তবে ভূমি মন্ত্রণালয় এবার এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হিসেবে ‘স্মার্ট মিউটেশন’ বা দ্বিতীয় প্রজন্মের নামজারি ব্যবস্থাপনা চালু করেছে।
নতুন এই ব্যবস্থায় তিন ধরনের দলিলধারী ব্যক্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাদের জমি নামজারি করতে সক্ষম হবেন। সাবকলা (বিক্রয় কবলা), হেবা দলিল এবং বন্টননামা (বাটোয়ারা) দলিলের মালিকরা এখন থেকে এই স্মার্ট মিউটেশন সিস্টেমের মাধ্যমে জমি নামজারি করতে পারবেন।
স্মার্ট মিউটেশনের মূল সুবিধা হলো দলিল এবং নামজারি একসাথে সম্পন্ন হওয়া। জমি ক্রয় করার সময় ক্রেতা উপজেলা সাব-রেজিস্টার কার্যালয়ে আবেদন করলে একই সময়ে দলিল তৈরি ও নামজারি কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। এতে দুষ্কৃতিকারী বা প্রতারণাকারীরা ভুয়া মালিক সেজে জমি বিক্রয় করার সুযোগ পাবেন না।
নতুন ব্যবস্থায় আবেদনকারীকে অবশ্যই প্রয়োজনীয় দলিল, যেমন ক্রয়-বিক্রয় দলিলের কপি, সর্বশেষ খতিয়ান, খাজনা প্রদান সংক্রান্ত দলিল, ভোটার আইডি ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা দিতে হবে। এই সমস্ত প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে নামজারি আবেদন বাতিল হওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকবে না।
বর্তমানে স্মার্ট মিউটেশন ব্যবস্থা দেশের ২১টি সাব-রেজিস্টার কার্যালয়ে চালু হয়েছে এবং ধাপে ধাপে অন্যান্য উপজেলাগুলোতেও এটি সম্প্রসারিত হবে। মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে, আবেদনকারী সব নথিপত্র ঠিক থাকলে ২৮ কার্যদিবসের মধ্যে নামজারি প্রদান করা হবে।
স্মার্ট মিউটেশন সিস্টেম কার্যকর হওয়ায় বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা এবং নিরাপত্তা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং ভূমি মালিকদের জন্য নামজারি প্রক্রিয়ার ঝামেলা কমবে।