হারুন-অর-রশীদ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: নিজ দলীয় আলোচনা সভা চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় ফরিদপুরের সালথা উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মো. ফারুক ফকিরকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে ফরিদপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক আলামিন হোসেন লিখন স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে সালথা উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আলোচনা সভায় অনাকাঙ্খিত একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। উক্ত বিশৃঙ্খলায় বিভিন্ন মাধ্যমে পাওয়া সূত্র অনুয়াযী বা উপস্থিত কর্মকান্ড পরিলক্ষিত হয় যে সালথা উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ফারুক ফকিরের সরাসরি ইন্দনে পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে আলোচনা সভাটি পন্ড করে দেওয়া হয়। উপরোক্ত বিষয় ফরিদপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক সালথা উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ফারুক ফকিরকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
অব্যাহতি পাওয়ার পর সালথা উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মো. ফারুক ফকির বলেন, সম্প্রতি সালথায় গণঅধিকার পরিষদের আলোচনা সভায় ঘটে যাওয়া মারামারির ঘটনায় কোনোভাবেই আমার সম্পৃক্ততা নেই। বরং আমি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। নাহলে আরো বড় ধরণের ঘটনা ঘটে যেত। তারপরেও যেহেতু আমাকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, বিষয়টি আমি সাংগঠনিকভাবে মোকাবেলা করবো।
উল্লেখ্য, ফরিদপুর জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাধারন সম্পাদক ফরহাদ মিয়া ও সালথা উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ফারুক ফকির ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনের এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী। গত শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে সালথা বাইপাস সড়কে দলীয় কার্যালয় এক আলোচনা সভা চলাকালে ব্যানারে নাম লেখা নিয়ে এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী ফরহাদ হোসেন ও ফারুক ফকিরের সমর্থকরা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও উচ্চতর পরিষদের সদস্য মাহফুজুর রহমান খান। পরে কেন্দ্রীয় নেতা মাহফুজুর রহমান খানের মধ্যস্থতায় পরিবেশ শান্ত হয়। এবং আলোচনা সভা সংক্ষিপ্ত আকারে শেষ করা হয়।