নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে স্বামী, শাশুড়ি ও দেবরকে আটক রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণের চেষ্টা করে ৭-৮ জন বখাটে। ধর্ষণ থেকে বাঁচতে দোতলা ভবন থেকে লাফ দিয়েছেন। এতে তার পা ভেঙে গেছে। এ ঘটনায় গতকাল বিকালে দু’জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। এর আগে গত শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে শহরের পৌর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলো- কাদিরহানিফ ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামের ওলি উল্যার ছেলে হানিফ ও বাহাদিপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে কামরুল। ভুক্তভোগী ও তার পরিবার জানায়, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য নিয়ে গত শুক্রবার সকালে পৌর বাজারে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়। এর মধ্যে হঠাৎ ৮-১০ জন বখাটে তাদের দু’জনের মধ্যে কী সমস্যা তা জানতে চায়। তারা জানায়, তাদের পারিবারিক বিষয়, কোনো সমস্যা নয়।
কিন্তু তরুণেরা এসব শুনতে না চেয়ে স্বামী-স্ত্রী দু’জনকে আলাদা করে দুই রুমে নিয়ে যায় এবং স্বামীকে মারধর করে। খবর পেয়ে তাদের কয়েকজন আত্মীয়স্বজনও আসেন। কিন্তু ওই তরুণেরা কারও কোনো কথা না শুনে সবাইকে আটক করে রাখে এবং অসদাচরণ করে।
আরও অভিযোগ করেন, এই সময় ভিন্ন কক্ষে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই তরুণেরা। একপর্যায়ে ধর্ষণ থেকে বাঁচতে ভুক্তভোগী দোতলা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েন। এতে তার পায়ে রড ঢুকে যায় এবং পা ভেঙে যায়। পরে অভিযুক্ত তরুণেরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগীর আত্মীয়স্বজনরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।
ভুক্তভোগীর স্বামী জানান, বিষয়টি তারা পৌর বাজার ব্যবসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম মুক্তাকে অবহিত করেন। পরে তিনি গোপনে লোকজন দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার সঙ্গে যুক্ত থাকা দু’জনকে রোববার বিকালে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় তারা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম মানবজমিনকে জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।