শিরোনাম
◈ আমার স্ত্রীকে ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা ধর্ষণ করেছিলেন: ভারতের অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অমিত কুমার ◈ এবার বিমানের চাকা চুরি করে অন্য এয়ারলাইনসে বিক্রি! ◈ সাত কলেজ নিয়ে গঠিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ◈ কোরআন ছুঁয়ে শপথ, ইসলাম কী বলে? ◈ যে মন্তব্যের কারণে ট্রাম্প প্রশাসনের চাপের মুখে বরখাস্ত মার্কিন মুখপাত্র শাহেদ গোরেশি ◈ নির্বাচনি জোট গঠনের চেষ্টায় জামায়াত: অধিকাংশ ইসলামি দলের না ◈ ইসরা‌য়েল‌কে আন্তর্জাতিক ফুটবলে নিষিদ্ধের দাবি এআইএসির ◈ বিকা‌লে সাফ ফুটব‌লে শ‌ক্তিশালী ভারতের মুখোমুখি  বাংলাদেশ নারী দল ◈ ভারত ও তাদের এজেন্টদের বিষয়ে যে সতর্কবার্তা দিলেন আমান আযমী ◈ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে রাজনীতিতে নতুন সংকট 

প্রকাশিত : ২২ আগস্ট, ২০২৫, ০২:৩০ রাত
আপডেট : ২২ আগস্ট, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জলাবদ্ধতা নিরসনে নোয়াখালীতে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

নোয়াখালী প্রতিনিধি: জলাবদ্ধতা নিরসনে নোয়াখালীর ছাতারপাইয়া বাজারে খালের ওপর গড়ে তোলা শতাধিক অবৈধ স্থাপনায় উচ্ছেদ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দিনব্যাপী সেনবাগ, সোনাইমুড়ী ও বেগমগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন সমন্বিতভাবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ছাতারপাইয়া-মানিক মুড়া খাল, ছাতারপাইয়া-কাশিপুর খাল, ছাতারপাইয়া-কানকিরহাট ও ছাতারপাইয়া-বসন্তপুর খাল দখল করে গড়ে তোলা দোকানপাটসহ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। 

অভিযানে সেনাবগের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহিদুল ইসলাম, সোনাইমুড়ী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) দ্বীন আল জান্নাত, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোসাম্মৎ কাউসারী আক্তার ও সেনাবাহিনীর সেনবাগ ক্যাম্প ইনচার্জ পারভেজ মোশাররফসহ দুই প্লাটুন সেনাবাহিনী সদস্য, একদল পুলিশ সদস্য অংশগ্রহণ করেন।

অভিযানে বিষয়ে সেনবাগের সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদুর ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ছাতারপাইয়া বাজারের পাশে অবস্থিত ছাতারপাইয়া-মানিক মুড়া খাল, ছাতারপাইয়া-কাশিপুর খাল, ছাতারপাইয়া-কানকিরহাট ও ছাতারপাইয়া-বসন্তপুর এ চারটি খাল দখল করে দোকানপাটসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়। যার কারণে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে সেনবাগ, সোনাইমুড়ী ও বেগমগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এতে প্রকৃতি ও জনজীবনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

তিনি আরও বলেন, আজকের এ অভিযানে আমরা খালের ওপর থেকে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করছি।অভিযানের আগে তালিকা করে অবৈধ দখলদারদেরকে নিজ দায়িত্বে তাদের স্থাপনাগুলো সরিয়ে নিতে বলা হয়েছিল। অভিযানের পর আর যেন কেউ খাল দখল করে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করতে না পারে আমরা সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখবো এবং জনগণকে এ বিষয়ে সচেষ্ট থাকতে আহবান জানাচ্ছি। এ সময় খালের ওপর থেকে সবগুলো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান সহকারী কমিশনারগণ।

সেনাবাহিনীর সেনবাগ ক্যাম্পের ইনচার্জ ক্যাপটেন ফারভেজ মোশাররফ বলেন, মানুষকে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে জেলা, উপজেলা প্রশাসনের সাথে সেনাবাহিনী সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের এ সহোযোগিতা চলমান থাকবে। জলের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মধ্য দিয়ে খালে পানি নিষ্কাশনের পথ সুগম করার উদ্যোগে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পাশাপাশি খালের ওপর থেকে সবগুলো অবৈধ বাঁধ অপসারণ এবং ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করারদাবি জানান স্থানীয় লোকজন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়