শিরোনাম
◈ আমি ও বিএনপি বিশ্বাস করি, দল-মত, ধর্ম-দর্শন যার যার, রাষ্ট্র সবার : তারেক রহমান ◈ সাগর-রুনির সন্তান মেঘের হাতে পূর্বাচলের প্লটের দলিল হস্তান্তর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ রোহিঙ্গা সমস্যা আন্তর্জাতিক ফোরামে তুলে ধরতে আগামী ২৪ থেকে ২৬ আগস্ট  তিন দিন কক্সবাজারে সম্মেলনের  ◈ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, পরবর্তী সরকারের কোনো পদে আমি থাকব না: প্রধান উপদেষ্টা ◈ মাদরাসাপ্রধানদের জন্য জরুরি নির্দেশনা, না মানলে ব্যবস্থা ◈ ‎তিস্তার পানি কমলেও দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন, ‎বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব অনেক পরিবার ◈ ফরিদপুরে পদ্মায় ভরা মৌসুমেও ইলিশের হাহাকার, বাজারে আগুন ◈ একদিনে ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল ৫ জনের ◈ সুন্দরবনের উপকূলে নোয়াপাড়ার শতবর্ষী পানের হাটে কোটি টাকার লেনদেন, তবুও চাষিদের হতাশা ◈ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কুমির গবেষণা: যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বন বিভাগ উদ্বিগ্ন

প্রকাশিত : ২১ আগস্ট, ২০২৫, ০৬:০৯ বিকাল
আপডেট : ২১ আগস্ট, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‎তিস্তার পানি কমলেও দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন, ‎বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব অনেক পরিবার

‎‎জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, ‎লালমনিরহাট প্রতিনিধি: ‎টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে লালমনিরহাটের তিস্তা তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকায় সাময়িক বন্যার সৃষ্টি হয়। পানি বৃদ্ধির পর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও নতুন করে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন।

‎বৃহস্পতিবার (২১ আগষ্ট) তিস্তা নদী পাড়ের বিভিন্ন এলাকায় সরজমিনে গেলে নদী ভাঙ্গনের এসব চিত্র দেখা যায়।

‎তিস্তার ভয়াল ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। বারবার ভাঙনের শিকার হয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন নদীপাড়ের মানুষ। কেউ কেউ আগেভাগেই ঘরবাড়ি ভেঙে উঁচু স্থানে সরিয়ে নিলেও থাকার জায়গার অভাবে অনেক পরিবার নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগে বালু ভরাট করে কাজ চালালেও তীব্র স্রোতে তা কার্যকর হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

‎সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কুটিপাড়া গ্রামের ভাঙনের শিকার শতবর্ষি সাইজন বেওয়া বলেন, ইতিমধ্যে তিনি সাতবার ভাঙনের শিকার হয়েছেন। এবার শেষ সম্বল ভিটেমাটিও নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তিনি।

‎বন্যা-পরবর্তী ভাঙনে সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কুটিপাড়া, আদর্শ বাজার, রাজপুর ইউনিয়নের তাজপুর, চিনাতলি, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারি এবং হাতিবান্ধার সিন্ধুনা এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে শতবর্ষী পুরোনো একাধিক বসতভিটাও নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে।

‎এদিকে পানি নেমে গেলে বানভাসীরা চর্মরোগ ও চুলকানিসহ নানা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভুগছেন। বন্যা আর নদী ভাঙ্গনে জেলায় ইতিমধ্যে প্রায় ৯১৫ হেক্টর রোপা আমন ধানের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

‎পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শ্রী শুনীল কুমার বলেন, “জরুরি আপদকালীন কাজের অংশ হিসেবে যেসব এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে, সেখানে জিও ব্যাগে বালু ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।”

‎স্থানীয়দের দাবি, তিস্তার ভয়াবহ ভাঙনে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই তারা দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়