শিরোনাম
◈ ফেসবুক লাইভে এসে রক্তাক্ত ডাক্তারের বাঁচার আকুতি ◈ শায়খ আহমাদুল্লাহর আবেগঘন পোস্ট ◈ বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের ‘অপারেশন অ্যালার্ট’ জারি ◈ ব্যাংক একীভূত হবেই, আতঙ্কের কিছু নেই: গভর্নর ◈ পৃথিবীর কোথাও বাংলাদেশের মতো ব্যাংক লুট হয়নি: অর্থ উপদেষ্টা ◈ জামিনে বের হয়ে ফের গ্রেফতার শার্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোতা ◈ ‌কির‌গিজস্তা‌নের ক্লাব মুরাসের কাছে হেরে চ্যালেঞ্জ লিগ থেকে ঢাকা আবাহনীর বিদায় ◈ জাপান ও দ‌ক্ষিণ কেরিয়ার বিরু‌দ্ধে ‌বিশ্বকা‌পের প্রস্তু‌তি ম‌্যাচ খেলবে ব্রাজিল ◈ জনরায় পেলে মিলেমিশে দেশ পরিচালনার অঙ্গীকার তারেক রহমানের ◈ কোথায় গেল ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর?

প্রকাশিত : ১২ আগস্ট, ২০২৫, ০৮:৩৩ রাত
আপডেট : ১৩ আগস্ট, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফরিদপুরে ঝুঁকিপূর্ণ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চলছে সেবা কার্যক্রম 

সনত চক্র বর্ত্তী, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি: ফরিদপুর সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। ভবনের বিভিন্ন অংশে পলেস্তারা খুলে পড়ছে ও জানালা, ভেন্টিলেটরের কাচ ভেঙে গেছে। এ পরিস্থিতিতেও ঝুঁকি নিয়ে চলছে স্বাস্থ্য সেবাদান কার্যক্রম।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ১৯৯৫ সালে নির্মিত ফরিদপুর সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবনটির ভেতরের যে কক্ষে ডাক্তার সেবাদান কার্যক্রম চালাতেন তা বন্ধ রয়েছে। বাহিরের অভ্যর্থনা কক্ষে টেবিল-চেয়ারে বসে চলছে সেবাদান। ভবনটির ছাদের ভিমে ফাটল, বিভিন্ন অংশে পলেস্তারা খুলে পড়েছে, ছাদ দেবে গিয়ে জানালা ও ভেন্টিলেটরের কাচ ভেঙে গেছে, যাতে ভবনটি ব্যবহারে জীবনের ঝুঁকিতে পড়েছেন চিকিৎসক ও রোগীরা।

উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার রুনা খাতুন বলেন, ঘটনাটি প্রায় দুই মাসেরও বেশি আগের। বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস হচ্ছিল, এমন সময় জানালা ও ভেন্টিলেটরের কাচ ভেঙে পড়তে থাকে। আগত বেশ কয়েকজন রোগী ভয়ে দৌড়ে রুম থেকে বের হয়ে যান। তারা আমাদেরও রুম থেকে তাড়াতাড়ি বের হতে বলেন, আমরা বের হয়ে যাই। তারপর থেকে ভেতরের রুমে আর বসার সাহস করিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এসএম ইফতেখার আজাদ বলেন, চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবনটি যে ঝুঁকিপূর্ণ, সে বিষয়ে আমরা অবগত। এটি সংস্কারের জন্য আমাদের স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ বরাবর আবেদন জানানো হয়েছে, তারা ভবনটি সংস্কার করবে।

স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ফরিদপুর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব বলেন, আবেদন আসার পর আমরা সেটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। অনুমোদন হয়ে এলেই ভবনটির সংস্কার কাজ শুরু হবে।
ফরিদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, এ মুহূর্তে এখানে নতুন ভবন নির্মাণের সুযোগ নেই, সংস্কারের জন্য পাঠানো আবেদনটি পাস হয়ে আসার পর ভবনটির সংস্কার কাজ করা সম্ভব হবে। বিষয়টি যেন দ্রুত করা যায় সেজন্য স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ফরিদপুর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে আমি কথা বলব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়