শিরোনাম
◈ কক্সবাজারে মিথ্যা অপহরণ নাটকের মূলহোতা আটক করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ◈ ইতিহাসের প্রথম পারমাণবিক হামলা সম্পর্কে আপনি কী জানেন? ◈ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জন্য সংগ্রহ করা হচ্ছে ৪০,০০০ বডি ক্যামেরা ◈ এসএসসি ও সমমানের পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশ, যেভাবে দেখা যাবে ◈ ৪ বন্দর পেরিয়ে চট্টগ্রামে বাজল সংকেত, ব্রাজিল থেকে আসা কনটেইনারে পাওয়া গেছে তেজস্ক্রিয়তা! ◈ ৪০ বছর ধরে গর্ভে সন্তান নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন বৃদ্ধা! ◈ এক বছরে দিল্লি ও ঢাকার সম্পর্ক রাতারাতি বদলে গেল কীভা‌বে? ◈ জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করলো নিউ জিল্যান্ড ◈ ‘গাজীপুর স্টাইলে’ ৫ সাংবাদিককে হত্যার ছক, ছাত্রলীগের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস, তালিকায় যারা আছেন ◈ সপ্তমবার ভাঙলো জাপা!

প্রকাশিত : ০৭ আগস্ট, ২০২৫, ০২:২৯ দুপুর
আপডেট : ০৮ আগস্ট, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিলের ভারে নিঃস্ব পরিবার: হাসপাতালের বিল দিতে না পেরে সন্তান রেখে পালিয়ে যান মা-বাবা, অতপর..

বিল দিতে না পেরে চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নবজাতক রেখে পালিয়ে যান এক দম্পতি। খুঁজে না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্ত হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মা-বাবাকে খুঁজে বের করে পুলিশ। বুধবার (৬ আগস্ট) মায়ের হাতে শিশুকে তুলে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এসময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।

পুলিশ সূত্র জানায়, রাঙ্গুনিয়ার উপজেলার এক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক গত ১৮ জুলাই নগরীর ওআর নিজাম রোডে অবস্থিত এশিয়ান স্পেশালাইজড হসপিটাল লিমিটেডে স্ত্রীকে ভর্তি করান। ওইদিন রাতে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে তাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। জন্মের পর থেকে শিশুটিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) রাখা হয়।

২২ জুলাই হাসপাতাল থেকে মাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। তখন পর্যন্ত হাসপাতালে বিল আসে ৪৬ হাজার টাকা। তারা ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। এরপর শিশুটিকে হাসপাতালে রেখে তারা চলে যান। 

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ১ আগস্ট পুলিশকে লিখিতভাবে জানায়। পুলিশ রাঙ্গুনিয়ায় গিয়ে শিশুটির মাকে খুঁজে বের করে বুধবার হাসপাতালে নিয়ে আসে। বুধবার পর্যন্ত হাসপাতালে বিল আসে তিন লাখ তিন হাজার টাকা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিল মওকুফ করে দিয়ে শিশুটিকে মায়ের বুকে ফিরিয়ে দেয়।

চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়া ও রাউজানে খোঁজ করে শিশুটির মা-বাবাকে বের করা হয়। এরপর গাড়ি ভাড়া দিয়ে চট্টগ্রামে আনা হয়েছে।’

শিশুটির মা বলেন, ‘সন্তানকে রেখে গিয়ে প্রতিদিন কেঁদেছি। টাকা জোগাড় করতে না পারায় হাসপাতালে আসতে পারিনি।’

হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাউদ্দিন আলী বলেন, ‘গরীব রোগীদের বিলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ছাড় দেওয়া হয়। শিশুটির অভিভাবকরা জানালে আগেই তাদের বিল মওকুফ করে দেওয়া হতো।’

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়