শিরোনাম
◈ ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক দ্বিগুণ: বাংলাদেশের জন্য উজ্জ্বল বাণিজ্যিক সম্ভাবনা ◈ নির্বাচন ঘোষণায় কিছু উপদেষ্টার ‘অসন্তোষ’, দাবি মেজর হাফিজের" ◈ যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিতে বন্দুক হামলা: ফোর্ট স্টুয়ার্টে লকডাউন ◈ ৩০ সেকেন্ডের সিদ্ধান্ত বাঁচাতে পারে জীবন: গাড়ি পানিতে পড়লে করণীয়, জানালেন বুয়েটের অধ্যাপক  ◈ বুয়ার বাসায় পলাতক আওয়ামী নেতার কোটি টাকার ডলার, অনুসন্ধানে বেরিয়ে এলো ভয়ঙ্কর তথ্য (ভিডিও) ◈ ১১ ডিআইজিসহ ৭৬ ওএসডি পুলিশ কর্মকর্তাকে ঢাকার বাইরে পাঠানো হলো যে কারণে ◈ বি‌য়ে‌র দাওয়াত না পেয়ে অনুষ্ঠা‌নে হামলা, বর-ক‌নেসহ আহত ১০ ◈ বক্তব্যের মাঝেই শুরু হলো হট্টগোল, রেগে গেলেন আইন উপদেষ্টা! (ভিডিও) ◈ টিকটক প্রেমের পরিণতি: স্ত্রীকে নিতে গিয়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু, পরিবারের অভিযোগ পরিকল্পিত হত্যা ◈ পুলিশকে হুমকি দিয়ে গ্রেপ্তার, ৪ ঘণ্টার মধ্যেই জামিন পেলেন জামায়াত নেতা

প্রকাশিত : ০৬ আগস্ট, ২০২৫, ১১:৫৭ দুপুর
আপডেট : ০৭ আগস্ট, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শেরপুর জেলা কারাগারে হামলা ও অস্ত্র লুটের এক বছর: এখনও অধরা ৩০০-র বেশি আসামি

তপু সরকার হারুন, জেলা প্রতিনিধি শেরপুরঃ গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিনে শেরপুর জেলা কারাগারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় কারাগার থেকে পালিয়ে গিয়েছিল ৫১৮ জন বন্দি। ঘটনার এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও ৩০০-র বেশি আসামি ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। পলাতকদের মধ্যে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তসহ নানা মামলার দাগী আসামি রয়েছে। ওই ঘটনায় মামলা হলেও এবং কিছু মালামাল ও অস্ত্র উদ্ধার হলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।

হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ:

গত বছর ৫ আগস্ট বিকেলে একদল দুর্বৃত্ত শেরপুর জেলা কারাগারে হামলা চালায়। তারা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। এ সময় কারাগারের ৯টি অস্ত্র, চায়নিজ রাইফেলের ৮৬৪টি গুলি এবং শটগানের ৩৩৬টি গুলি লুট হয়। এই সুযোগে ৫১৮ জন বন্দি পালিয়ে যায়। ঘটনার পর তৎকালীন জেলার লিপি রাণী সাহা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১০-১২ হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

প্রশাসনের পদক্ষেপ:

পলাতক আসামিদের আত্মসমর্পণের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষ থেকে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এরপর কিছু আসামি থানায় ও আদালতে আত্মসমর্পণ করে। র‌্যাব তালিকা ধরে পলাতকদের গ্রেপ্তারের অভিযান শুরু করে। এদিকে, কারাগার অচল হয়ে পড়ায় বন্দিদের পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে গণপূর্ত বিভাগের অধীনে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ শেষে দীর্ঘ ৪ মাস পর শেরপুর কারাগার আবার চালু হয়। এই সময়ের মধ্যে লুট হওয়া সব অস্ত্র ও মালামাল উদ্ধার হলেও, মামলার কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।

গ্রেপ্তার ও পলাতক আসামিদের বর্তমান অবস্থা:

বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্র অনুযায়ী, ৫১৮ জন পলাতক আসামির মধ্যে এ পর্যন্ত ২ শতাধিক জনকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও ৩০০-র বেশি আসামি অধরা রয়ে গেছে।

শেরপুর জেলা কারাগারের জেলার মুহাম্মদ আব্দুস সেলিম জানান, তাদের রেজিস্টার অনুযায়ী, পলাতক ১৪৫ জনকে এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে। তবে কিছু আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পাওয়ায় সেই তথ্য তার জানা নেই।

কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. জিয়াউর রহমান জানান, পুলিশ ও র‌্যাব কর্তৃক গ্রেপ্তার হয়ে আদালতে সোপর্দ হওয়া আসামিদের বাইরে তার কাছে কোনো তথ্য নেই।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, পলাতক অনেক আসামির তৎকালীন আন্দোলনকারী, বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মী। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে কিছু রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় তারা আত্মসমর্পণ করেনি।

এ বিষয়ে শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম জানান, পলাতক আসামিদের মধ্যে ২ শতাধিককে আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়