জাহাঙ্গীর লিটন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আদম আলী নামে এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় মামলা করায় তার টিনসেট ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযাগ উঠেছে আসামিদের বিরুদ্ধে। শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে আদম আলীর ভাই সিএনজি অটোরিকশা চালক মো. ইব্রাহীম গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি জানায়। আগুনে ঘরের আশপাশের বেশ কয়েকটি ফলজ গাছ পুড়ে গেছে।
এরআগে শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ চরআবাবিল ইউনিয়নের দক্ষিণ উদমারা গ্রামে আসর উদ্দিন মাঝির হুতেগো বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। মামলার বাদী হওয়ায় ইব্রাহীমকে মারধর ও তার ঘরও ভাঙচুর করে অভিযুক্তরা।
তবে মামলায় অভিযুক্ত কহিনুর বেগমের দাবি, তাদের কেউই আদম আলীর ঘরে আগুন দেয়নি। বাদীপক্ষরাই ঘরটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। মামলায় এজাহারভূক্ত আবুল বাশার ও রহম আলী গ্রেপ্তার রয়েছে। অন্য পুরুষ আসামি সবাই পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
ভূক্তভোগী আদম আলী উদমারা গ্রামের মৃত হাবিব উল্যার ছেলে ও পেশায় দিন মজুর। মারামারির মামলার অন্য আসামিরা হলেন সফিক, হুমায়ুন, সুজন, দেলোয়ার, শিবলু, চাঁন ভানু, আনোয়ারা বেগম ও তহির।
এজাহার সূত্র জানায়, ভূক্তভোগী আদম আলীদের সঙ্গে অভিযুক্ত বাশারদের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ ও মামলা চলমান রয়েছে। অভিযুক্তরা মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত। মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে বললে বিরোধ বেড়ে যায়। এর জের ধরে ২৯ জুন রাতে উদমারা গ্রামের অধিকারী বাড়ি এলাকায় আদম আলীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে অভিযুক্তরা। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত জখম ও ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তিনি রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় ৩০ জুন আলীর ছোট ভাই ইব্রাহীম বাদী হয়ে রায়পুর থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত বাশার ও রহম আলীকে গ্রেপ্তার করে। অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে।
ইব্রাহীম বলেন, মামলার জের ধরে অন্য আসামিরা আমার ভাইয়ের টিনসেট ঘরটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। ঘরের আসবাবপত্র, খুঁটিসহ সব পুড়ে ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে। আশপাশের অন্তত ১০টি ফলজগাছ পুড়ে গেছে। মামলা করায় আমার ঘরও ভাঙচুর করেছে তারা। আমাকে রাস্তায় আটকে রেখে বাড়িতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে অভিযুক্তরা। পরে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।
রায়পুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘর পোড়ানোর ঘটনায় উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছে। ঘটনাটি তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।