এএফএম মমতাজুর রহমান, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বহু পরিশ্রমে উৎপাদিত ফসল কাঁচা মরিচ। কাঠ ফাটা রোদ মাথায় নিয়ে মরিচ গাছের পরিচর্যা এবং রাসায়িনক সার ও প্রতিদিনই দামি দামি কীটনাশক প্রয়োগ করে হাজার হাজার টাকা খরচ করে মরিচ চাষীরা একটু আর্থিক লাভের আশায়।
কিন্তু এবছর বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার মরিচ চাষীরা পড়েছে বিপাকে। উৎপাদিত মরিচ কেনার পাইকার নেই। সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে ৭/৮ টাকা কেজিতে মরিচ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে মরিচ চাষিরা। যেন মরিচ চাষীদের এই বোবা কান্না শোনার কেউ নেই। মরিচ চাষের জন্য বিখ্যাত আদমদীঘি উপজেলা। এখানকার চাষীরা কাঁচা মরিচ চাষ করে প্রতি বছর হাজার হাজার টাকা লাভ করে থাকেন। বিগত বছর গুলোতে তারা ৫০ টাকা থেকে ২৫০টাকা কেজিতে মরিচ বিক্রি করেছেন। এবছর আবহাওয়া অনুকুল থাকায় ফলনও হয়েছে দিগুণ। কিন্তু ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না চাষীরা। পাইকাররা প্রতিদিন বাজারে এলেও সবাই এক জোট হয়ে মরিচ ৭ টাকা থেকে ১০ টাকা কেজি কিনছেন। চাষীরা কাঁচামাল মরিচ
বাড়িতে ফিরে নিয়ে যেতেও পারছে না। বাধ্য হয়ে বিক্রি করছেন হাজার হাজার লোকসান দিয়ে। বাজারে মরিচ চাষীদের বোবা কান্না যেন কেউ শুনছেনা। এব্যাপারে সরকারের আশু পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আগামী বছরে মরিচ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে চাষীরা। যা দেশের
জন্য মঙ্গল হবে না বলে এলাকার সচেতন মহল মনে করেন।