ভোলায় ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানি বন্দী হাজারো মানুষ
ফরহাদ হোসেন, ভোলা : ভোলায় ঘূর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে উত্তাল মেঘনা নদীর জোয়ারের পানিতে বেঁড়িবাধ ছুটে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে এবং চরফ্যাশনের নিম্মাঞ্চলে জোয়ারের পানি শত শত ঘর বাড়ির বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টার দিকে তজুমদ্দিনের নতুন স্লুইজ ঘাট এলাকায় বেঁড়িবাধ ছুটে জোয়ারের পানি ঢুকে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এতে কয়েকশত ঘর বাড়ি বিধ্বস হয়। অপরদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চরফ্যাশন উপজেলার নিম্মঞ্চল চর কুকির মুকরি, চরপাতিলা, চর নিমাজসহ ঢালচর ইউনিয়নের শতশত বসতঘর বাড়ি জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। সেখানে বেড়িবাঁধ না থাকায় পানিবন্দি রয়েছে শতশত পরিবার। বসতঘরে পানি উঠায় অনেকে আবার খাটে উঠে বসে রয়েছে।
ঢালচরের স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইউসুফ ফরাজি জানান, বুধবার দুপুরের দিকে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে তাদের ঘর বাড়ি ডুবে যায়। এতে বহু বসতঘর প্লাবিত হয়। পানিবন্দি হয়ে পড়ে নিম্নাঞ্চলের মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোড ডিভিশন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা জানান, নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ১০০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। আর ঢালচরের বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। তবে ২-৩ ঘণ্টা পর জোয়ার কমে গেলে পানি নেমে যাবে।
এদিকে ভোলার কিছু এলাকায় নৌ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। বিআইডব্লিটিএ সহকারী পরিচালক রিয়াদ হোসেন বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভোলার সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সকাল থেকে ভোলায় ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এতে প্লাবিত হয়েছে নিচু এলাকা। স্থানীয় প্রশাসন জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। ভোলার জেলা প্রশাসক আজাদ বলেন, সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পর্যপ্ত খাদ্যসামগ্রী, মেডিকেল টিম এবং স্বেচ্ছাসেবীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।