ফারুকুজ্জামান, কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার ১১নং নোয়াবাদ ইউনিয়নে ভিজিএফের চাউল ওজনে কম দেওয়ার সময় প্রতিবাদকারী সহ উপস্থিত সাংবাদিকের উপর হামলা চালায় চেয়ারম্যান ও তার সমর্থিত লোকজন। থানায় অভিযোগ দায়ের, অনুলিপি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সহ সকল দপ্তরে প্রেরণ, বিচার দাবিতে মানববন্ধন।
ওজনে কম ও হামলার স্বীকার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, করিমগঞ্জ উপজেলা শাখার সেক্রেটারী মোঃ হাবিবুল্লাহ হাবিব (৩২)বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগকারী জানান, আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে গরিব, দুস্থ্য মানুষদেরকে বিনা মুল্যে ভিজিএফের জনপ্রতি ১০ কেজি চাউল দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতিটা ইউনিয়ন পরিষদে চাউল পাঠায়। গরিব, দুস্থ্য মানুষদের উক্ত চাউল সঠিক ভাবে বন্টন হচ্ছে কি না তাহার তদারকি করার জন্য আমাদের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর নেতাকর্মীগণ আমাদেরকে নির্দেশনা প্রদান করে। উক্ত নির্দেশনা মোতাবেক আমরা নিক্তী নিয়া করিমগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফ এর ১০কেজি চাউল সঠিক ভাবে পরিমাপ করিয়া দিচ্ছে কি না তা তদারকি করি। তারই ধারাবাহিকতায়, ২৬মে সোমবার বেলা সাড়ে বারোটার দিকে উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ সহ উপজেলাধীন নোয়াবাদ ইউনিয়ন পরিষদ হইতে উত্তোলন করিয়া নিয়া যাওয়ার সময় কয়েকজনের ভিজিএফ চাউল পরিমাপ কালে দেখা যায় ভিজিএফ এর ১০কেজি চাউলের মধ্যে প্রায় লোকদেরকে ৭কেজি আবার কিছুকিছু লোকদেরকে ৮কেজি করিয়া চাউল দিচ্ছে।
উক্ত ঘটনাটি আমার মোবাইল ফোনে ভিডিও স্থিরছিত্র ধারণ করি। এমন সময় চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল ও তার লোকজন আমাকে সহ আমার সঙ্গীয় ৬ জনকে ঘেরাও করিয়া অতর্কিত আক্রমন করে। চেয়ারম্যান আমাকে এলোপাতাড়ি ভাবে চরথাপ্পর মারিয়া আমার নাকে, মুখে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা ও রক্তাক্ত জখম করে এবং আমার পাঞ্জাবীতে ধরিয়া টানা হেঁচড়া করিয়া ছিড়িয়া ফেলে। আমার হাতে থাকা একটি এনড্রয়েড মোবাইল ফোন টান দিয়া নিয়া যায়। এই সময় ঘটনাস্থলে পাশে দাঁড়াইয়া আনন্দ টিভির প্রতিনিধি মোবাইল ফোনে ভিডিও করিতে থাকা অবস্থায় আনন্দ টিভির প্রতিনিদিকে এলোপাতাড়ি ভাবে কিলঘুষি, লাথিমুড়া মারিয়া নাকে, মুখে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা ও রক্তাক্ত জখম করে এবং তার মোবাইল ফোনটিও নিয়া যায়। এমন সময় আমার সঙ্গে থাকা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, করিমগঞ্জ উপজেলা শাখার অন্যান্য নেতাকর্মীগণকেও কিলঘুষি মারে। পরে আশেপাশের লোকজন চেয়ারম্যানকে ফিরাইয়া দিলে খুন জখমের হুমকি দিয়া তাড়াইয়া দেয়।
পরে আমি বাদী হয়ে করিমগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে এর অনুলিপি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসন সহ সকল দপ্তরে প্রেরণ করি।
এই ন্যাক্কারজনক হামলা ও চাউল ওজনে কম দেওয়ার বিচার দাবিতে বিকেলে করিমগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ করিমগঞ্জ উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ সহ স্থানীয় লোকজন। এসময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি প্রভাষক আলমগীর হোসাইন তালুকদার সহ জেলার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে ফোনে বার বার কল করেও চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।