শিরোনাম
◈ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা, শিগগির বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে: প্রেস সচিব ◈ তিন দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি সমর্থন : প্রেস সচিব ◈ প্রধান উপদেষ্টার কাছে দুই বিষয়ে রোডম্যাপ চেয়েছে জামায়াত (ভিডিও) ◈ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ও তিন উপদেষ্টার অপসারণ দাবি বিএনপির ◈ প্রধান উপদেষ্টার কাছে এনসিপির ৫ দাবি (ভিডিও) ◈ যুক্তরাজ্যে সম্পদ জব্দের ঘটনা একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি: গভর্নর ◈ অর্থনীতিতে বিপর্যয়ের শঙ্কা: জাতিসংঘ ◈ এলডিসি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমদানি-রপ্তানি নীতির পুন:মূল্যায়ন জরুরি: ঢাকা চেম্বার ◈ আমি চাই মেসি ও রোনালদো এক‌ই দ‌লে খেলুক : ফিফা সভাপতির কথায় তোলপাড় নেটদু‌নিয়া ◈ রান্নাঘরের অজগর সাপ, আঁতকে উঠলেন বাড়ির গৃহিনী

প্রকাশিত : ২৪ মে, ২০২৫, ০৪:১৯ দুপুর
আপডেট : ২৪ মে, ২০২৫, ১১:১৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

২১৬ লিটারের ড্রামে ২২৬ লিটার ডিজেল !

নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় জ্বালানি তেল বিতরণে ওজনে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাতে উপজেলার কালীগঞ্জ প্রধানাবাদ এলাকায় অবস্থিত শাহনেওয়াজ ফিলিং স্টেশনে একাধিক গ্রাহক এমন অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগী হাসান আলী জানান, তিনি একটি ড্রামে ডিজেল সংগ্রহ করেন। কিন্তু ড্রামটি ২১৬ লিটার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন  হলেও সেটিতে ২২৬ লিটার তেল পরিমাপ দেখায়। সন্দেহ হলে কর্তব্যরত কর্মচারী ও ম্যানেজার এর মাধ্যমে পুনিরায় পরিমাপ করা হলে গরমিল দেখা দেয়। পরে মেশিন রিসেট দিয়ে তেল নিলে ২১৬ লিটারে ড্রাম পূরণ হয় বলে জানান।

একই সময় অপর গ্রাহক আবু নাঈম লিটন ৬০ টাকার পেট্রোল সংগ্রহ করলে পরিমাপে সন্দেহ প্রকাশ করেন। পরে মেশিন রিসেট দিয়ে তেল নিলে পরিমাণে বেড়ে যায় বলে জানান।

ম্যানেজার দিবাকর প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরে তিনি স্বীকার করেন যে এক টাকার তেল কম দেওয়া হয়েছিল এবং একে কর্মচারীদের গাফিলতি বলে দায় দেন।

যদিও ভুক্তভোগী লিটন দাবি করেন, ১ টাকা নয় বরং আরো বেশি টাকার তেল কম দেওয়া হয় প্রথমে।

আরেক ভুক্তভোগী দিজেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “দুই লিটার ডিজেল নেওয়ার সময় পরিমাপে কম দেওয়া হয়। অভিযোগ জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি।” এলাকাবাসীর দাবি, ফিলিং স্টেশনটি সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত না করলে তা বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।

মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ফিলিং স্টেশনের মালিক শাহনেওয়াজ জানান, “আমি এ বিষয়ে জানি না। কর্তব্যরত ম্যানেজার ও কর্মচারীরা ভালো জানে।”

এইদিকে ফিলিং স্টেশনগুলোতে স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় বছরের পর বছর এভাবেই ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয়রা।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুমন চন্দ্র দাশ বলেন, স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি মনিটরিং করবে। আমি ইউএনওকে জানাবো। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, আমি ট্রেনিং এ আছি। এখান থেকে ফিরে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

উল্লেখ্য, পরিমাপে কারচুপির অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪৬ ধারা অনুযায়ী অভিযুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদণ্ড বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়