শিরোনাম
◈ গাজার একদিনে ১০০ লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলের বিমান হামলা ◈ তিন দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি সমর্থন : প্রেস সচিব ◈ প্রধান উপদেষ্টার কাছে দুই বিষয়ে রোডম্যাপ চেয়েছে জামায়াত (ভিডিও) ◈ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ও তিন উপদেষ্টার অপসারণ দাবি বিএনপির ◈ প্রধান উপদেষ্টার কাছে এনসিপির ৫ দাবি (ভিডিও) ◈ যুক্তরাজ্যে সম্পদ জব্দের ঘটনা একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি: গভর্নর ◈ অর্থনীতিতে বিপর্যয়ের শঙ্কা: জাতিসংঘ ◈ এলডিসি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমদানি-রপ্তানি নীতির পুন:মূল্যায়ন জরুরি: ঢাকা চেম্বার ◈ আমি চাই মেসি ও রোনালদো এক‌ই দ‌লে খেলুক : ফিফা সভাপতির কথায় তোলপাড় নেটদু‌নিয়া ◈ রান্নাঘরের অজগর সাপ, আঁতকে উঠলেন বাড়ির গৃহিনী

প্রকাশিত : ২৪ মে, ২০২৫, ০৮:৩৯ রাত
আপডেট : ২৪ মে, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : মনজুর এ আজিজ

এলডিসি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমদানি-রপ্তানি নীতির পুন:মূল্যায়ন জরুরি: ঢাকা চেম্বার

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের অর্থনীতিতে দীর্ঘদিনের উচ্চমূল্যস্ফীতি, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক পারষ্পরিক শুল্কারোপ, রপ্তানির উপর ভারতের নিষেধাজ্ঞা, জ্বালানি সংকট, রিজার্ভ স্বল্পতা ও আর্থিকখাতের অব্যবস্থাপনা এবং আইন-শৃঙ্খলার অস্থিতরতার কারণে শিল্পখাতে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় রপ্তানি কার্যক্রমে স্থবিরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিদ্যমান বাস্তবতা বিবেচনা, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট এবং ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের আমদানি-রপ্তানি নীতিমালার পুন:মূল্যায়নের কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ। শনিবার দুপুরে ডিসিসিআই আয়োজিত ‘বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি নীতিমালা : এলডিসি পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয়তা এবং চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে এ অভিমত জ্ঞাপন করেন তিনি। 

স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বার সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, চামড়া, ঔষধ, পাটপণ্য এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রভৃতি পণ্যসমূহের রপ্তানির সম্ভাবনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি, অপরদিকে মোট রপ্তানি ৮৪% তৈরি পোশাক ও সুনিদিষ্ট কিছু বাজারের উপর নির্ভরশীল। শিল্পখাতের মূলধনী যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি নির্ভর আমাদের অর্থনীতিতে দীর্ঘদিনের উচ্চমূল্যস্ফীতি, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক পারষ্পরিক শুল্কারোপ, রপ্তানির উপর ভারতের নিষেধাজ্ঞা, রিজার্ভ স্বল্পতা ও আইন-শৃঙ্খলার অস্থিতরতার কারণে শিল্পের উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যমান বাস্তবাতায়, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট এবং ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের আমদানি-রপ্তানি নীতিমালার পুনঃমূল্যায়নের কোন বিকল্প নেই। 

তিনি বলেন, আমদানি পর্যায়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতার পাশাপাশি শুল্ক ও ট্যারিফ কাঠামোর দক্ষ ব্যবস্থাপনা খুবই জরুরি। সেই সাথে আমদানি-রপ্তানি নীতিমালার বৈসাদৃশ্য দূর করে একটি সমন্বিত বাণিজ্য নীতিমালা প্রণয়ন, বন্দর অবকাঠামো ও ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ডিজিটাল রাজস্ব ব্যবস্থাপনা, সম্ভবনাময় খাতে বন্ডেড ওয়ারহাউস সুবিধা প্রদান, দেশীয় শিল্পের সুরক্ষা ও কাঁচামাল আমদানিতে নীতি সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি বাজার সম্প্রসারণে সম্ভাবনাময় দেশ ও অঞ্চলসমূহের সাথে মুক্ত-বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।  এছাড়া শিল্পখাতে নিরচ্ছিন্ন ও অনুমেয়মূল্যে দীর্ঘমেয়াদে নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহের তাগিদ দেন তিনি। 

প্রধান উপদেষ্টা’র আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যকার কাঠামোগত সংষ্কার জরুরি, তবে যে গতিতে বর্তমানে সংষ্কার কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় বেশ কম। সত্যিকারে শিল্পখাতসহ অন্যান্য সেক্টরে আমাদের কোন দীর্ঘমেয়াদে রোডম্যাপ নেই, যা হাতাশার বিষয়। তিনি প্রাতিষ্ঠানিক সংষ্কারের পাশাপাশি সরকারের সংস্থাগুলোর মধ্যকার সমন্বয় বাড়ানো প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন। 

তিনি বলেন, সকল বন্দরসমূহ অর্থনীতির হৃদপিন্ড, তাই এগুলোর ব্যবস্থাপনা সচল রেখে নির্বিঘ্নে কার্যক্রম পরিচালনা করা একান্ত অপরিহার্য। ব্যবসায়ী সমাজের দাবী সমূহ যৌক্তিক আকারে সরকারের নিকট উপস্থাপনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বেসরকারিখাতই আমাদের দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। 

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে এলডিসি উত্তরণ করতেই হবে, এখান থেকে ফিরে আসার কোন সম্ভাবনা নেই, তবে এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের উচ্চ মানের তৈরি পোশাক পণ্য, ঔষধ এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতের উপর বেশি হারে মনোযোগী হতে হবে। এলডিসি পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে সকলের অংশগ্রহণে অতিদ্রুত একটি জাতীয় ডায়লাগ আয়োজন করবে। তিনি বলেন, আমাদের মানবম্পদ, শিল্প-কারখানা এবং আর্থিক ব্যবস্থাপনা রয়েছে, এগুলোর মধ্যকার সমন্বয় বৃদ্ধিকল্পে পারষ্পরিক আস্থা-বিশ্বাস বৃদ্ধির কোন বিকল্প নেই। 

এনবিআরের সদস্য (কাস্টমস) কাজী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ১৯৯৩ সাল হতে এনবিআর এসআইকোডাসহ রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় অন্যান্য অটোমেটেড ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এলডিসি পরবর্তী নেগোশিয়েশনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিখাতের প্রতিনিধি থাকা প্রয়োজন। আমাদের রপ্তানি শুধুমাত্র একটি পণ্যে তৈরি পোশাকের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় অনেকক্ষেত্রে বৈশ্বিক দরকাষাকষিতে আমরা পিছিয়ে পড়ি।

তিনি বলেন, সেন্ট্রাল বন্ডেড ওয়ারহাউস চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, আগামী জুলাইয়ের মধ্যে সবাইকে এ সুবিধা প্রদান করা যেতে পারে। এনবিআর ইলেকট্রনিক ডাটা এক্সচেঞ্জ ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে, যেটি চালুর হলে ব্যবসায়ীরা আরো স্বল্প সময়ে আমদানিকৃত পণ্য ছাড় করতে পারবেন।

ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এলডিসি পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নগদ প্রণোদনার চেয়ে কার্যকর নীতি সহায়তাই মূল হিসেবে কাজ করবে। পণ্য বহুমুখীকরণের জন্য নন-ট্রেডিশনাল খাতের উপর জোর দিতে হবে। এছাড়া বাণিজ্য নীতিমালার সংষ্কার, কমপ্লায়েন্স ও স্ট্যান্ডার্ড এবং বেসরকারিখাতের প্রস্তুতিসহ ৩টি বিষয় নিয়ে সরকার কাজ করছে। তৈরি পোশাকখাতে ম্যান মেইড ফাইবার ব্যবহারের জন্য বেসরকারিখাতকে এগিয়ে আসার জন্য তিনি উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। 

তিনি বলেন, যথাযথ অবকাঠামো, জ্বালানি নিরাপত্তা, আর্থিক ও নীতি সহায়তা এবং লজিস্টিক সেবা নিশ্চিত করতে পারলে আগামী ২-৩ বছরে তৈরি পোশাক খাত হতে  ১০০ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব। 

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এবং সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে শুল্ক ও শুল্কের হার বেশি, এছাড়া আমরা এখনও আমদানি করের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। রাজস্ব খাতে সংস্কারের অভাব এবং প্রত্যক্ষ করের মাধ্যমে কর বৃদ্ধিতে সরকারের ব্যর্থতার ফলে পরোক্ষ কর ও আমদানি করের উপর ব্যাপক নির্ভরতা দেখা দিচ্ছে। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি নীতি অনুসারে, আমাদের রপ্তানি পণ্যের স্বল্প বৈচিত্র্য, সীমিত প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এবং বাণিজ্যের সুবিধার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসহ শুধুমাত্র তৈরিপোশাক খাতের দ্বারা প্রভাবিত একটি রপ্তানি ভিত্তিকে সমর্থন করার জন্য মূলত নগদ এবং কর রিটার্নের প্রণোদনার উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। অপরদিকে আমদানি নীতির পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ তার প্রতিযোগী দেশগুলোর চেয়ে উচ্চতর শুল্কসহ কোথাও জটিল প্যারা-ট্যারিফ ব্যবস্থা অনুসরণ করছে। সার্বিক অবস্থা বিবেচনায়, এটি বাণিজ্যিক নীতি, গতিশীল শুল্ক সমন্বয়, নীতিগুলির মধ্যকার কার্যকর সমন্বয় এবং আগ্রহী পক্ষগুলির অংশগ্রহণের একটি সমন্বিত কাঠামো প্রতিষ্ঠার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। 

তিনি বলেন, ইইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজার ব্যবহার করার জন্য সম্ভাবনাময় তালিকার বাইরে পণ্য এবং বাজারের বৈচিত্র্যের উপর আরও জোর দেওয়া উচিত। তাছাড়া ক্রমান্বয়ে শুল্ক হ্রাস, আমদানি নীতির আধুনিকীকরণ, শুল্ক পদ্ধতির সরলীকরণ, বাণিজ্যের সুবিধার উন্নতি, অটোমেশনের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। 

এ অর্থনীতিবিদ বলেন, বাণিজ্যিক, শিল্প ও আর্থিক খাতের সংশ্লিষ্ট নীতিগুলোর সমন্বয়ের মাধ্যমে বিদ্যমান পরিস্থিতির উন্নয়ন সম্ভব। তাছাড়া দীর্ঘমেয়াদে প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে রপ্তানি ও আমদানি নীতির সংস্কারের কোন বিকল্প নেই বলে জানান তিনি। 

বিকেএমইএ’র সাবেক সভাপতি মো. ফজলুল হক বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত ধ্বংস হয়ে যাবে এমন নয়, তবে আমাদেরকে এখাতে উচ্চমানের পণ্যের উৎপাদনের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। সরকার একদিকে প্রণোদনা সহায়তা হ্রাস করছে, অপরদিকে জ্বালানিসহ অন্যান্য সেবার মূল্য বৃদ্ধি করছে, ফলে বেসরকারিখাত ক্রমাগত প্রতিকূল অবস্থায় পড়ছে। 

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের জয়েন্ট চীফ (ইন্টারন্যাশাল কোঅপারেশন ডিভিশন) মো. মসিউল ইসলাম বলেন, এলডিসি পরবর্তী সময়ে আমর ৪৩টি পণ্যের উপর শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রাপ্তি হতে বঞ্চিত হবো, তাই এলডিসি পরবর্তী সময়ে শিল্পখাতে নগদ সহায়তা কিভাবে বিকল্প পন্থায় প্রদান করা যায়, সে বিষয়ে নীতি কৌশল প্রণয়ন করতে হবে। 
বেসিস’র প্রাক্তন সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেণ, রপ্তানি পণ্যের বিদ্যমান বাজারে নতুন নতুন পণ্য রপ্তানি সম্প্রসারণ, মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং তথ্য-প্রযুক্তি ভিত্তিক পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে সম্ভাবনাময় ৫টি দেশে বিপণন অফিস স্থাপন করতে হবে। তিনি বলেন, পণ্যের বহুমুখীকরণের পাশাপাশি পণ্যের এক্সটেনশন বা বর্ধিতকরণ করার সময় এসেছে বেসরকারিখাতের আওতায়। তাই এ ধরণের গবেষণা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে প্রণোদনা প্রদানের আহ্বান জানান তিনি।  

ডেল্টা ফার্মা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. জাকির হোসেন বলেন, এলডিসি উত্তোরণের পরও যেন বাংলাদেশ ট্রিপস-এর সুবিধাটি কমপক্ষে আরও ছয় বছর পেতে পারে তার জন্য কার্যকর নেগোসিয়েশন প্রয়োজন। এছাড়া বেশকিছু পণ্য এ সময়ের মধ্যেই রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে নিতে পারলে তা পরবর্তীতে আর পেটেন্টের আওতায় আনতে হবেনা এবং দেশীয় বাজারে ঔষধের দামও নাগালের মধ্যে থাকবে। তিনি সরকারকে এখাতে নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে আসতে বিদেশি প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে যৌথ উদ্যোগে গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব করেন। 

ফকির ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফকির কামরুজ্জামান নাহিদ বলেন, এলডিসি পরবর্তী সময়ে জিএসপি সুবিদা চলে গেলে আমাদের তৈরি পোশাক পণ্যের মূল্য ৯.৫% বৃদ্ধি পাবে, এতে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে পারে বাংলাদেশ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়