মাজহারুল মিচেল: [২] রাজধানীতে প্রায় প্রতিদিনই ডেঙ্গুর আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমছেই। তবে ঢাকার বাইরের চিত্র এখনও একই রকম রয়ে গেছে।
[৩] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকার বাইরে ৭৭ শতাংশই রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে গত তিন মাসে (সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর)। একই সময়ে মারা যাওয়া রোগীর ৭৭ শতাংশ ঢাকার বাইরের। এর আগের আট মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল ২৯ শতাংশ। মৃত্যুর হার ছিল ২২ শতাংশ।
[৪] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, ঢাকায় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ার কারণে ভাইরাস ও মশা দুটিই সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। যেহেতু ঢাকার বাইরে কয়েক গুণ বেশি মানুষের বসবাস, সুতরাং সেখানে রোগী বেশি হওয়া স্বাভাবিক। আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো চিকিৎসা নিশ্চিত করা। কারণ ঢাকার বাইরে চিকিৎসকদের সক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা দুটিই কম।
[৫] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম সোমবার (৪ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত একদিনে সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৩৫ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৪৭ জন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১৬৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
[৬] বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৬৮৯ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ১৪ হাজার ৩৮৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩ লাখ ১০ হাজার ৬৫ জন। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
এমএম/টিএবি/এনএইচ