মাজহারুল মিচেল: [২] গত মাসের মাঝামাঝিতে ডেঙ্গুর মৃত্যুর সংখ্যা কমতে থাকে। এর কিছুদিন পর থেকে আক্রান্তের সংখ্যাও কমে। এর মধ্যেও চিকিৎসকরা উদ্বেগের কথা জানিয়ে বলেন, এর আগের বছরগুলোতে নভেম্বরের আগেই ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে যায়। কিন্তু ডেঙ্গু এখনও রয়ে গেছে এ বছর। এর জন্য সচেতনতার সঙ্গেই চলা পরামর্শ দেন তারা।
[৩] ভাইরোলজিস্ট সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. জুলফিকার মামুন জানান, সচেতন হলে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা শুন্যতে আনা সম্ভব।
[৪] স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা জানান, এখন ডেঙ্গুর আক্রান্তের সংখ্যা অনেকাংশে কমে গেছে। আমার জানা মতে, বাইরে যারা প্র্যাকটিস করছেন, তাদের কাছে আগে ডেঙ্গু চিকিৎসা নেওয়ার জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৮/১০ জন রোগী আসতেন। এখন তারা গড়ে সর্বোচ্চ ১টি করে রোগী দেখছেন।
[৫] ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ইউনিট-৪ এর প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. মনওয়ার আলী জানান, তার ইউনিটে আগে ১৫-২০ জন রোগী ভর্তি হতেন। আর এখন তা কমে দাড়িয়েছে ২/৩ জনে। এরূপ সবগুলো ইউনিটেই।
[৬] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত বৃহস্পতিবার সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় ১৩৮ জন ও ঢাকার বাইরের ৩৩০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ছয়জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা চারজন, ঢাকার বাইরের দুইজন।
[৭] স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছরে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট তিন লাখ ১২ হাজার ৩৫৯ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬২৮ জনে। ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ সাত হাজার ৩৭৩ জন। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
এমএম/টিএবি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :