মাজহারুল ইসলাম: দেশের ২৮ জেলায় নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে অধিদপ্তর। এ কারণে মহাখালীর কোভিড হাসপাতালটির ১০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড ও ১০টি আইসিইউ শয্যা প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।
গত ২৯ জানুয়ারি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, চলতি মওসুমে আটজন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে পাঁচজন মারা গেছেন। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার শতকরা ৭০ শতাংশ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আরো জানান, বাদুড় এই ভাইরাস বহন করে থাকে। কাঁচা রস, পাখি খাওয়া ফল খেলে এই রোগ হয়। বাদুড় খেজুরের রস পান করার পর সেটি মানুষ পান করলে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। অসুস্থ মানুষের সংস্পর্শে এলে এটি অন্যান্যদের মধ্যে দ্রুত ছড়ায়। তখন মাল্টিপল সংক্রমণ হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই ভাইরাস থেকে রক্ষায় মানুষকে সচেতন করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমরা টিভিসি তৈরি করেছি। সংক্রমণ ব্যধি হাসপাতালে আলাদা ইউনিট করে চিকিৎসা দিচ্ছি।
আইইডিসিআরের তথ্যানুযায়ি, দেশে ২০০১ সালে মেহেরপুরে প্রথম নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ২০০৩ সালে হয় নওগাঁয়। তবে এর সবচেয়ে বড় প্রাদুর্ভাব হয় ২০০৪ সালে ফরিদপুর জেলায়। সেখানে ৩৫ জন আক্রান্ত হন, এদের মধ্যে মারা ২৭ জন যান।
আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন বলেন, দেশে ২০০১ সালে প্রথম নিপা ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর থেকে এ পর্যন্ত আক্রান্তদের মধ্যে গড় মৃত্যু ৭১ শতাংশ। বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত এই রোগের সংক্রমণ দেখা দেয়। চলতি বছর এক জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আর ২০২২ সালে ই রোগে আক্রান্ত হন তিন জন। এদের মধ্যে দুই জনের মৃত্যু হয়।
এমআই/এনএইচ