শিরোনাম
◈ বিদেশে আশ্রয় আবেদনে শীর্ষে বাংলাদেশিরা: বাড়ছে আবেদন, কমছে স্বীকৃতি ◈ মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে গুম অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশ ◈ মাঝরাতে কক্সবাজারে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত ◈ যেসব সুবিধা পান রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা  ◈ আইআরআই জরিপ: ইউনূস সরকারের প্রতি আস্থা অটুট, ৮০% বাংলাদেশি অবাধ–সুষ্ঠু নির্বাচনে আশাবাদী ◈ খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় মোদির বার্তা: চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহযোগিতায় প্রস্তুত ভারত ◈ খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা করেছে সরকার ◈ ইন্টার মিলা‌নের জয়, জোড়া গোল করে ইতিহাস লাউতারোর ◈ প্রাথমিক শিক্ষকদের মঙ্গলবারও কর্মবিরতি, হবে না বার্ষিক পরীক্ষা ◈ ২০২৬ থেকে বাধ্যতামূলক সিবিএমএস: বন্ড ব্যবস্থাপনায় পূর্ণ ডিজিটাল যুগে এনবিআর

প্রকাশিত : ২৮ নভেম্বর, ২০২২, ০৫:১৬ বিকাল
আপডেট : ২৮ নভেম্বর, ২০২২, ০৭:৪১ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জীবন রক্ষায় কীটনাশকসহ সকল বিষক্রিয়ার গবেষণার জরুরি: বিএসএমএমইউ উপাচার্য

অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ

শাহীন খন্দকার: বিভিন্ন ধরণের বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর হার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে অনেক বেশি। শুধুমাত্র ধানে কীটনাশকের বিষক্রিয়ায় নয়, খাদ্যে অনেক ধরণের বিষক্রিয়া ঘটে থাকে। এর কারণে খাদ্যে ভেজাল মেশানো হয়। খাদ্যে বিষক্রিয়া এবং আর্সেনিক দূষণ, পোল্ট্রি শিল্প বা গোবাদি পশুসহ বিভিন্ন ধরণের এন্টিবায়োটিক ব্যবহার হচ্ছে, তাতেও দেশের মানুষের স্বাস্থ্যের উপর অনেক প্রভাব পড়ছে।

গতকাল সোমবার ‘পেস্টিসাইড পয়জনিং ম্যানেজমেন্ট পিটফলস্ এন্ড আপডেট’ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এসব কথা বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। বিএসএমএমই’র ডি ব্লকে সেমিনারের আয়োজন করে ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগ।

এ সময় উপাচার্য বলেন, দেশের মানুষকে রক্ষার জন্য কীটনাশকের বিষক্রিয়াসহ অন্যান্য বিষের উপর গবেষণা হওয়া জরুরি। বাংলাদেশে প্রতি মাসে প্রায় ৭দশমিক ৫ শতাংশ রোগী বিভিন্ন ধরনের বিষক্রিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।

অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, দেশে প্রায় ৫৮দশমিক ৮ শতাংশ রোগী কীটনাশক জনিত বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয় এবং ৫ দশমিক ৪ শতাংশ রোগী মৃত্যুবরণ করেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হন এবং প্রাণ হারান দেশের যুবসমাজ। যার ফলশ্রুতিতে রোগীর পরিবার এবং গোটা দেশকে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এই সমস্যা মোকাবেলায়  অযাচিত কীটনাশক ব্যবহার এবং বিক্রয় পর্যবেক্ষণ করার সাথে সাথে বিষাক্ত কীটনাশক এর উপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার ব্যাপারে এই অনুষ্ঠানে বিজ্ঞ আমন্ত্রিত অতিথিগণ সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্টিফিক বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ আরাফাতের সভাপতিত্বে সায়েন্টিফিক সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অফ এডিনবার্গ এর সেন্টার ফর পেস্টিসাইড সুইসাইড প্রিভেনশন বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ডা. মাইকেল এডেলস্টন।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন  আহমেদ ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের আধুনিক শ্রেণিকক্ষ  উদ্বোধন করেন। সম্পাদনা: শাখাওয়াত মুকুল

এসকে/এসএম/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়